ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার মথনপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। সে দুই সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।
সোমবার দুপুরে তিনি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. ওয়াজিদুর রহমানের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী তার জামিন আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
সবুজদেশ নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, গত শনিবার রাত ১ টার দিকে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা। এরপর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান জাহাঙ্গীর হোসেন। তাকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। সোমবার দুপুরে জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
মামলা এজাহারে ভিকটিম শিশুটির বাবা উল্লেখ করেছেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে জাহাঙ্গীরের বাড়ির দিকে আরেক শিশুর সাথে খেলা করতে যায় তার মেয়ে। এ সময় জাহাঙ্গীর বাড়িতে ছিল। পরে তার মেয়ের সাথে থাকা অন্য শিশুটির মা তাকে নিয়ে যায়। পরে তার মেয়ে বাড়ি চলে আসার সময় জাহাঙ্গীর কৌশলে শিশুটিকে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়ের চিৎকারে তার স্ত্রী জাহাঙ্গীরের বাড়িতে গিয়ে প্যান্ট খোলা অবস্থায় দেখতে পাই। এ সময় ধ্বস্তাধস্তি করে জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়।
ভিকটিম শিশুটির বাবা সোমবার দুপুরে সবুজদেশ নিউজকে বলেন, জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি তার মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চান। এমন ঘটনা যেন কোন শিশুর সাথে না ঘটে।
সবুজদেশ/এসএএস