কালীগঞ্জ এমপি কাপ ফুটবলঃ বাগেরহাটকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে চুয়াডাঙ্গা
ঝিনাইদহঃ
কালীগঞ্জে শহরের ঐতিহ্যবাহি সরকারী নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শনিবার নামে ফুটবল প্রেমিদের ঢল। দুপুর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে ফুটবল ভক্তরা মাঠে আসতে থাকে। খেলা শুরু হওয়ার আগেই কানায় কানায় ভর্তি হয়ে যায় ভূষণ মাঠ। শনিবার ছিল এমপি কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০১৯ এর ২য় সেমিফাইনাল খেলা। খেলায় অংশ গ্রহন করে শক্তিশালী বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গা ফুটবল একাদশ
খেলায় চুয়াডাঙ্গা ফুটবল একাদশ ১-০ গোলে বাগেরহাট ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে। এরই সুবাদে আগামী বুধবার ফাইনালে কালীগঞ্জ ফুটবল একাদশের সাথে ফাইনাল খেলায় প্রতিদ্বন্দিতা করবে চুয়াডাঙ্গা ফুটবল একাদশ।
শনিবারের খেলায় মাঠে নামে উভয় দলেই নামে ৬জন বিদেশী। খেলা দেখতে উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমনি, ৫ নম্বর শিমলা রোকনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির চৌধরী, ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু ও রনি লস্কর এবং কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলীসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ হাজার হাজার ফুটবল ভক্তরা।
খেলার শুরু থেকে উভয় দলের আক্রমন পাল্টা আক্রমনে উপভোগ্য উঠে। এরমধ্য দিয়েই গোলশূন্য নিয়ে দু’দলই খেলার বিরতিতে যায়। বিরতি থেকে ফিরে এসে বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গা গোল দিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। খেলার ৭৮ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আব্বাসির বাড়িয়ে দেওয়া বলে পা লাগিয়ে চুয়াডাঙ্গা একাদশের ১৮ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সাব্বির দলকে এগিয়ে নেয়। এরপর আর গোল শোধ করতে পারেনি আবাহনীর সাবেক অধিনায়ক প্রাণতোষের টিম। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফাইনাল খেলার টিকিট নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা ফুটবল একাদশ।
অন্যদিকে আনন্দের জোয়ার বইতে থাকে কালীগঞ্জ ফুটবল ভক্ত দর্শকদের মধ্যে। আগামি রোববার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলায় অংশ গ্রহন করবে শক্তিশালী চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট ফুটবল একাদশ। ফলে লাখ টাকার প্রাইজ মানি লড়াইয়ের যুদ্ধে প্রথম দল হিসাবে কালীগঞ্জ টিকিট পেয়ে গেল।
খেলার ধারা বর্ণনায় ছিলেন, খোরশেদ আলম, কামাল হোসেন ও রবিউল ইসলাম।
টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক অজিত কুমার ভট্রাচার্য্য জানান, শনিবার টুর্নামেন্টের ২য় সেমিফাইনাল খেলা ছিল। খেলায় চুয়াডাঙ্গা ফুটবল দল ১-০ গোলে বাগেরহাটকে পরাজিত করায় লাখ টাকার প্রাইজ মানি লড়াইয়ের চুড়ান্ত পর্বে উঠে গেল।