ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধার লক্ষে পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ পৌর এলাকার সমস্ত অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করেছেন।
শনিবার সকালে পৌর মেয়র নিজে উপস্থিত থেকে পৌরসভার সকল কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সথে নিয়ে কালীগঞ্জের নলডাঙ্গার রোডের হাট চাঁদনীর কর্ণার থেকে মাপা মাপির কাজ শুরু করেন। যে সমস্থ স্থাপনার মালিকগন সরকারী জায়গা অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মান করেছে তাদের সামনেই মাপামাপি করে লাল চিহ্ন দিয়ে সিমানা নির্ধারন করেন। এবং কালীগঞ্জ বাজারের ভিতরের সড়কের জমি দখল করে যারা এই সকল স্থাপনা নির্মান করেছে তারা কিভাবে এই জমির মালিক হলেন তার সঠিক কাজপত্র হাজির করার নির্দেশ দেন। সঠিক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা নেবে পৌর কর্তৃপক্ষ। যে স্থাপনায় লাল চিহ্ন দেওয়া হয়েছে সে সব স্থাপনা ঐ সব দখলদারদের নিজ উদ্যোগে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁেধ দিয়েছেন পৌর মেয়র। তারা যদি স্ব-উদ্যোগে ব্যবস্থা না করে তাহলে ব্যবস্থা নেবে পৌর কর্তৃপক্ষ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহবুবার রহমান, কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, আওয়ামীলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মন্টু, কালীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ¦ ফরিদ উদ্দিন, পৌর সভার কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ ও কালীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীগণ।
মেয়র আশরাফ বলেন, ইতোমধ্যে অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকা পুনরায় যাচাই-বাছাইও করা হয়েছে। আমরা অবৈধ দখলদারদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি তারা ভুল করেছেন। তাদের অনেকে নিজেদের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার প্রতিশুতি দিয়েছিলেন। তাদের বারবার সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদের সাথে বহুবার বৈঠক করেছি। মাইকিং করে সবাইকে অবগত করা হয়েছে। কোন সমাধান হয়নি।
এখন আমরা খুব শিগগির অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করবো। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কালীগঞ্জ শহরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। পর্যায়ক্রমে বাকি স্থাপনাগুলোও উচ্ছেদ করা হবে। এই কাজকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।
এ কাজে সাংবাদিক ও জনগণের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণ পাশে থাকলে কোন কিছুই অসম্ভব নয়। অবৈধ্য দখলদারদের কারনে শহরের মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। আবার অল্প বৃষ্টিতে পানিতে নিমজ্জিত এবং কাঁদামাটিতে একাকার হয়ে পড়ছে সড়কগুলো। এই দুর্ভোগ, ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ চায় পৌরবাসী।

জনগণের একজন সেবক হিসেবে আমি সমস্থ পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করতে চাই। খুব শিঘ্রই পৌরসভার প্রত্যেক এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাস্টবিন বসানো হবে। পৌরবাসীর প্রতি আমার আহ্বান সকলে যেন ডাস্টবিনে ময়লা ফেলেন। সকাল ৭ টায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা গিয়ে ওইসব ময়লা-আবর্জনা তুলে নিয়ে আসবে। জনগণ নালা-নর্দমায় গৃহাস্থলীর বর্জ্য ফেলা থেকে বিরত থাকলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here