ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর বেঁদেপল্লীতে আবু তালেব নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে যুবক হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা থেকে মাস্টারমাইন্ড সেলিম হোসেনকে বাদ দেওয়া ও বাদিকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে থানা ও মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ওসির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করে বেঁদেপল্লীর বাসিন্দারা।
এরপর বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ক্যাপ্টেন রাতুলের নেতৃত্বে কাশিপুর বেঁদেপল্লীতে যান সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এসময় কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তারা বেঁদেপল্লীর বাসিন্দাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এরআগে সকালে বেঁদেপল্লীর প্রায় ২ শতাধিক নারী-পুরুষ থানায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সেখানে তারা প্রায় ১ ঘন্টা অবস্থান নেন। তারা ওসির সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও দেখা পাননি। এরপর তারা শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা যশোর-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় রাস্তার দু’পাশে শতাধিক গাড়ি আটকে পড়ে। পরে তিনদিনের মধ্যে ওসির অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যান।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল ভোররাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আবু তালেব নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে লোহার রড দিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নিহতের ভাই আব্দুল আলীমকে থানায় ডেকে মামলার বাদি করানো হয়। কিন্তু এজাহারে কি লেখা আছে সেটি তিনি কিছুই জানেন না বলে অভিযোগ করেন। মামলায় রুবেল হোসেন নামে একজনকে আসামি করা হয়েছে। যাকে ওইদিনই গ্রেফতার করা হয়।
সবুজদেশ/এসএএস