ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জ সরকারি মা ও শিশু হাসপাতাল: দেখতে দৃষ্টিনন্দন, নেই চিকিৎসক

Reporter Name

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শিবনগর এলাকায় অবস্থিত ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালটিতে নেয় কোন চিকিৎসক। যে কারণে বর্তমানে উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভিজিটর রেহানা নাসরিনই ঐ হাসপাতালে রোগী দেখছেন। দুই জন মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পদায়ন থাকলেও বর্তমানে এই হাসপাতালে একজন ডাক্তারও নেই। অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে একজন ভিজিটর, নার্স ও অফিস সহায়ক মোট তিনজন দিয়ে চালানো হচ্ছে। ফলে রোগীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানা গেছে, এ বছরের গত ২ ফেব্রুয়ারী হাসপাতালটি উদ্বোধন হলেও মূলত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য  স্টাফ স্বল্পতার কারণে ঠিকঠাকভাবে চলছেনা। পূর্বে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মেডিকেল অফিসার কামাল হোসেন এই হাসপাতালে কর্মরত থাকলেও তিনি ৭ জুলাই ডেপুটেশনে চলে যান।

প্রতিদিনিই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কিন্তু ডাক্তার না পেয়ে ভিজিটরের কাছ থেকে কিছু ঔষধ পেলেও পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা । প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত দৃষ্টিনন্দন হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় ডাক্তার চেম্বার, দোতলা ও  তিনতলায় রয়েছে অব্যবহৃত ভর্তী রোগীর জন্য বেড, অপারেশন থিয়েটার, রয়েছে নার্স ডিউটি রুম, রান্নাঘর ও ওয়াশরুম। হাসপাতালটিতে নরমাল ডেলিভারি, সিজারিয়ান ডেলিভারি, স্থায়ী বন্ধাত্বকরণসহ আধুনিক চিকিৎসা সেবার সকল ব্যবস্থা থেকলেও রোগীরা সেবা পাচ্ছে না। অব্যবহৃত বেড ও যন্ত্রাংশে ধুলাবালিতে স্তর পড়ে গেছে। হাসপাতাল ভবনের পেছনে রয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট একটি কোয়ার্টার।  অফিস সহায়ক সোহরাব হোসেন ছাড়া ওই কোয়ার্টারও খালি পড়ে আছে। 

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আকলিমা খাতুন জানান, ডাক্তার দেখাতে এসে দেখি ডাক্তার নাই। এত সুন্দর হাসপাতাল থেকেও যদি আমরা চিকিৎসা সেবা না পায় তাহলে হাসপাতাল করার দরকার কি ছিল।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জাহিদ আহমেদ জানান, বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা আমাদের রয়েছে। তারপরও উপজেলার কিছু স্টাফ দিয়ে হাসপাতালটি চালু রাখার ব্যবস্থা আমি করেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই হাসপাতালটিতে ডাক্তার, নার্স ও স্টাফ সংকট দূর হবে। তখন এ হাসপাতাল থেকে সাধারণ জনগণ তাদের কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা পাবেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
১৫৪ Time View

কালীগঞ্জ সরকারি মা ও শিশু হাসপাতাল: দেখতে দৃষ্টিনন্দন, নেই চিকিৎসক

আপডেট সময় : ০৪:৫৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শিবনগর এলাকায় অবস্থিত ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালটিতে নেয় কোন চিকিৎসক। যে কারণে বর্তমানে উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ভিজিটর রেহানা নাসরিনই ঐ হাসপাতালে রোগী দেখছেন। দুই জন মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পদায়ন থাকলেও বর্তমানে এই হাসপাতালে একজন ডাক্তারও নেই। অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে একজন ভিজিটর, নার্স ও অফিস সহায়ক মোট তিনজন দিয়ে চালানো হচ্ছে। ফলে রোগীরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানা গেছে, এ বছরের গত ২ ফেব্রুয়ারী হাসপাতালটি উদ্বোধন হলেও মূলত ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য  স্টাফ স্বল্পতার কারণে ঠিকঠাকভাবে চলছেনা। পূর্বে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মেডিকেল অফিসার কামাল হোসেন এই হাসপাতালে কর্মরত থাকলেও তিনি ৭ জুলাই ডেপুটেশনে চলে যান।

প্রতিদিনিই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কিন্তু ডাক্তার না পেয়ে ভিজিটরের কাছ থেকে কিছু ঔষধ পেলেও পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা । প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত দৃষ্টিনন্দন হাসপাতাল ভবনের নিচতলায় ডাক্তার চেম্বার, দোতলা ও  তিনতলায় রয়েছে অব্যবহৃত ভর্তী রোগীর জন্য বেড, অপারেশন থিয়েটার, রয়েছে নার্স ডিউটি রুম, রান্নাঘর ও ওয়াশরুম। হাসপাতালটিতে নরমাল ডেলিভারি, সিজারিয়ান ডেলিভারি, স্থায়ী বন্ধাত্বকরণসহ আধুনিক চিকিৎসা সেবার সকল ব্যবস্থা থেকলেও রোগীরা সেবা পাচ্ছে না। অব্যবহৃত বেড ও যন্ত্রাংশে ধুলাবালিতে স্তর পড়ে গেছে। হাসপাতাল ভবনের পেছনে রয়েছে তিনতলা বিশিষ্ট একটি কোয়ার্টার।  অফিস সহায়ক সোহরাব হোসেন ছাড়া ওই কোয়ার্টারও খালি পড়ে আছে। 

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আকলিমা খাতুন জানান, ডাক্তার দেখাতে এসে দেখি ডাক্তার নাই। এত সুন্দর হাসপাতাল থেকেও যদি আমরা চিকিৎসা সেবা না পায় তাহলে হাসপাতাল করার দরকার কি ছিল।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জাহিদ আহমেদ জানান, বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা আমাদের রয়েছে। তারপরও উপজেলার কিছু স্টাফ দিয়ে হাসপাতালটি চালু রাখার ব্যবস্থা আমি করেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই হাসপাতালটিতে ডাক্তার, নার্স ও স্টাফ সংকট দূর হবে। তখন এ হাসপাতাল থেকে সাধারণ জনগণ তাদের কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা পাবেন।