smartcapture

সবুজদেশ ডেক্সঃ ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ সার্ব্বজনিন কালীবাড়ী কমিটি কর্তৃক সেচ্ছাচারিতাসহ জমিদাতা সদস্যদের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বুধবার রাতে ভুক্তভোগী কালীবাড়ির জমিদাতা চাপালী গ্রামের সুকর্ণ ঘোষ বাবলু বর্তমান কালীবাড়ি কমিটির অনিয়ম ও সৃষ্ট সমস্যার সমাধানের জন্য এক মতবিনিময় সভা করেছে।
মত বিনিময় সভায় কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মন্দির কমিটির সভাপতি সম্পাদকদের উপস্থিতিতে মতবিনিময়ে লিখিত বক্তব্য বলা হয়েছে, বাবলু ঘোষ তার পিতা স্বর্গীয় মানু ঘোষের স্বৃতি অক্ষুন্ন রাখতে ২০০৮ সালে মৌখিক ভাবে সার্বজনীন কালীবাড়ির জন্য জমি দান করেন। কালীবাড়ি কমিটির গত ১৯/০৬/২০১১ ইং তারিখের রেজুলেশনে ওই জমি দান সাপেক্ষে কিছু শর্ত উল্লেখ করা ছিল। তা হল দানকৃত ওই জমিতে নির্মিত ভবনের প্রথম তলায় অফিস, দ্বিতীয় তলায় মানু ঘোষ স্মৃতি পাঠাগার ও তৃতীয় তলায় একটি শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির নির্মাণ করা হবে এবং ১৮ মাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু কালীবাড়ীর বর্তমান কমিটির কিছু নেতৃবৃন্দ ওই শর্ত না মেনে স্বেচ্ছাচারী ভাবে সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করার জন্যে আমাদেরকে চাপ সৃষ্টি করিয়া আসিতেছে। গত ৭ বছর যাবৎ ওরা এই প্রতিশ্রুতি বা কালীবাড়ি উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন না করায় গত ২৭ মার্চ কালীবাড়ির কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে আমারা দুই ভাই কালীবাড়ির উন্নয়ন ও সার্বজনীন বিষয়ে কথা বললে তারা আমাদেরকে আপত্তিকর ও মান অপমানজনক কথা বলেন।
বাবুল ঘোষ আরো জানান, তারা ওই সম্পত্তি কোন ব্যক্তিগত কমিটি বা সংস্থাকে দিতে রাজি নহে। এবং কালীগঞ্জ সার্ব্বজনিন কালীবাড়ি মন্দির ভিত্তিক সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হলেই তারা উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর করিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সর্বশেষ তিনি কালীবাড়ির বর্তমান কমিটির সেচ্ছাচারিতার বিচার প্রার্থনা চয়েছেন।
এ বিষযে কালীগঞ্জ কালীবাড়ি কমিটির সাধারন সম্পাদক প্রভাসক শশাংক কুমার ছানা জানান, তাদের সাথে কমিটির কেউই কোন খারাপ আচরন করেনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here