কাশ্মীরে ওমর-মেহবুবার সহায়তা চাচ্ছে ভারত সরকার
সবুজদেশ ডেস্কঃ
অধিকৃত কাশ্মীরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে রাজ্যটির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির সহযোগিতা চাচ্ছে ভারত।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, গত দুই দিনে কয়েকজন শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তার মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার সূত্র জানায়, মুক্তি দেয়ার পর তারা যেনো কাশ্মীরের স্থিতিশীলতা ফেরাতে সহায়তা করেন, তাদের কাছ থেকে সেই প্রতিশ্রুতি চাওয়া হচ্ছে। তবে কর্মকর্তারা এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন।
ওমর আবদুল্লাহর দল ন্যাশনাল কনফারেন্স এমন খবর উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, এই খবরের কোনো ভিত্তি নেই।
কাশ্মীরের পিপল ডেমোক্রেটিক পার্টির(পিডিপি) সূত্র জানায়, কারাগারে এই দুই নেতার সঙ্গে কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা দেখা করেছেন। যদি তারা ছাড়া পান, তবে জম্মু ও কাশ্মীরে স্বাভাবিকতা ফেরাতে তাদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
এক জ্যেষ্ঠ পিডিপি কর্মকর্তা বলেন, কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বাতিলের মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা থেকে তারা একটুও সরে আসবেন না।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ বাতিলের ঘোষণা সামনে রেখে গত ৫ আগস্ট ওমর ও মেহবুবাকে গ্রেফতার করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
ওমর আবদুল্লাহকে গুপখার সড়কের হারি নিওয়াস প্রাসাদে ও মেহবুবাকে শ্রীনগরের চেসমাসাহির জেকে পর্যটন উন্নয়ন হাটে আটকে রাখা হয়েছে।
মুসলমান অধ্যুষিত রাজ্যটিতে কোনো জনসমাবেশ করবেন না কিংবা নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কোনো বিবৃতি না দেয়ার শর্তেই তাদের মুক্তি দেয়া হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাজিদ হাইদারি বলেন, ওমর ও মেহবুবা মুক্তি পেল কিনা; কাশ্মীরের লোকজনের কাছে তা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না। তারা এখন অনেক ক্ষুব্ধ। মূল ধারার রাজনীতির প্রতি কাশ্মীরিরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন।
‘এই দুই নেতা যদি কারাগার থেকে ছাড়াও পান, তবে লোকজন তাদের কথায় কান দেবেন না,’ বললেন হায়দারি।
তিনি বলেন, কাশ্মীরিরা এসব নেতাদের ওপর আস্থা রাখছে না। কারণ ক্ষমতা আঁকড়ে ধরা কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুজনেই বিজেপির সমর্থন পেয়েছেন।