সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু নিউজ মিডিয়ায় কুরবানি পশুর চামড়া নিয়ে ঢালাওভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, কুরবানি পশুর চামড়া ন্যায্যমূল্যে কেনার জন্য বিনামূল্যে সাড়ে সাত লাখ টন লবণ বিতরণ করা হয়েছিল। এছাড়া ৮৬ হাজার কসাইকে সরকার ট্রেনিং দিয়েছে। চামড়াশিল্পে ২১৫ কোটি প্রণোদনার টাকা সরকার ঈদের আগেই ছেড়ে দিয়েছিল। চাহিদার জন্য ওয়েটফুল চামড়া এবং সাদা চামড়া রপ্তানির জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন জনগণ নিয়ম মেনে একত্রিত হয়ে মজুত বা সংরক্ষণ করলে সরকার নির্ধারিত মূল্য আরও বেশি দাম পাবে।
শেখ বশির উদ্দিন বলেন, কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করে কাঁচা চামড়া যদি লবণ মেশানো না হয় তাহলে সেগুলো পচে যাবে। তার কোনো দাম নেই।
সোমবার সকালে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন সুন্দরবনঘেঁষা সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
সেখানে তিনি বলেন, বিগত দিনে আমাদের এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেখানে অস্থিরতা নৈরাজ্যের কারণে জ্ঞান পেছনের দিকে চলে গিয়েছিল। নৈরাজ্য এবং সমস্ত রকম অন্যায়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বায়তুল মোকাররমের মতো জায়গার খতিব পালিয়ে গেছে। সেখানে বর্তমানে মানুষের জীবনে কোনো প্রভাব বিস্তার করে না, সেটা ছিল সম্মান ও ইজ্জতের জায়গা। কিন্তু তারপরও সেখান থেকে তিনি পালিয়ে গেছেন।
রাষ্ট্রের সব জায়গাকে ধ্বংস করা হয়েছে মন্তব্য করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশে দুর্বৃত্তায়ন ঘটেছিল। এর আগে দেশের কিছু মানুষের হয়রানি করে অসম্মান করা হয়েছিল। আজ তারা সম্মানিত হচ্ছেন। কিন্তু যারা সেদিন অসম্মানিত করেছিল তারা এখন জেলখানায় রয়েছেন। অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি ফলজ বৃক্ষের চারা রোপণ করেন।
এদিকে, বিদ্যালয়ের ৭০ বছরপূর্তি উপলক্ষে নবীন-প্রবীণ শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। এ উপলক্ষে এক মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত মিলনমেলায় সাবেক শিক্ষার্থী আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সিদ্দিক জোবায়ের, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ আহমেদ, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোসাম্মদ আসমা বেগম, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাক আহমেদ, পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রাক্তন শিক্ষার্থী আব্দুল মজিদ, প্রধান শিক্ষক মো. শামীম হোসেন প্রমুখ।
সবুজদেশ/এসইউ