ঢাকা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কী পেলাম আমরা ?

Reporter Name

আশির দশকে এই ঢাকা শহরেই আমরা স্কুলে আসা–যাওয়া করতাম পায়ে হেঁটে। দলবেঁধে বান্ধবীরা একসঙ্গে বড় রাস্তা পার হতাম নির্ভয়ে। এমনকি ক্লাস ফাইভ–সিক্সেও। বর্তমান ঢাকা শহরে ফাইভ–সিক্সের বাচ্চা একা একা বড় রাস্তা পার হয়ে স্কুলে যাবে, এই সাহস করার মতো দুঃসাহস আছে কজন বাবা–মায়ের? নব্বইয়ের দশকে রিকশায় করে শিক্ষকের বাসা, কলেজ, সব জায়গাই গিয়েছি। এখন বাচ্চা তো দূরের কথা, বড় মানুষদেরই রাস্তা পার হতে ভয় লাগে। ট্রাফিক সিগনাল বলে যে একটা জিনিস আছে, পথচারীদের যে পথে চলার অধিকার আছে, নিয়ম আছে, সেটা যেন সবাই ভুলেই গেছেন। রাস্তায় যারা যানবাহন চালান, সেটা বাস হোক, ট্রাক হোক, সিএনজি হোক বা গাড়ি, সবাই ধরে নেন রাস্তাটা শুধু তার একারই এবং পয়সা বা ক্ষমতার বিনিময়ে যেকোনো আইনকেই কিনে নেওয়া যায়। বয়স্ক মানুষেরা ভয়ে রাস্তায় নামতেই চান না। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য তাদের জন্য পায়ে হাঁটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু স্বাস্থ্য রক্ষা করতে গিয়ে তো আর জীবনের ঝুঁকি নেওয়া যায় না।

এত গেল পথচারীদের দুর্ভোগ। যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও ভয়ংকর। ছোট কোনো যানবাহনে চড়লে প্রতিটা মুহূর্তে মনে হয় এই বুঝি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে গেলাম। গাড়িতে, সিএনজি বা রিকশায় থাকলে দুই বাসের মাঝে পড়ে সেকেন্ডের ব্যবধানে ঘটতে পারে যেকোনো ভয়ংকর দুর্ঘটনা। আর বড় যানবাহনে তো ওঠাই বিপদ। উঠতে উঠতেই হাত–পা ভাঙার আশঙ্কা। চালক কখন থামবে, কখন টান দেবে গাড়ি, সেটা তাদেরই মর্জি। ওঠার পড়ে ঝুলে থাকার কারণে থাকে হাত–পা ভাঙা ও জীবননাশের আশঙ্কা। নিয়ম না মেনে উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ি বা বাস, বেপরোয়াভাবে চালানো যানবাহন, সিগন্যাল না মেনে একে অপরকে ওভারটেক করা, প্রতিযোগিতা করা সবকিছুই যাত্রীদের জীবনের জন্য হুমকির কারণ। পাবলিক বাসে চড়া যেন এক স্নায়ুযুদ্ধ।

ধনী–গরিব নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষ এই ভোগান্তির শিকার। এ কথাগুলো কারওরই অজানা নয়। দুর্ভোগের চরম সীমায় পৌঁছে কোমলমতি শিশু–কিশোর ও তরুণ শিক্ষার্থীরা যখন প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামল, যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজ করল, তারা কিন্তু শখ করে বা কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে এটা করেনি। তাদের আর হারানোর কিছু নেই। এই দেশের কাছ থেকে তারা আর কিছু আশা করতে পারে না বলেই এই ঝুঁকি তারা নিয়েছে। তাদের কোনো রকম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। তারপরও তারা নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছে। এদের পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ছুড়েছে, লাঠির আঘাত করেছে। ছাত্র নামধারী গুন্ডারা পুলিশের চোখের সামনে এদের আক্রমণ করেছে। এই সব আক্রমণকারীদের পেছনে যদি কোনো ক্ষমতার কালো হাত না থেকে থাকে তাহলে পুলিশ কেন তাদের বাধা দেয়নি? এদের ছবিসহ প্রমাণ থাকর পরও কেন এদের গ্রেপ্তার করা হয়নি? উল্টো আন্দোলনকারী ছাত্রদের ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মতো স্বনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা হয়েছে। ২২ জন ছাত্রকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের মিডিয়াতে বারবার খবর দেওয়া হচ্ছে যে, সবই গুজব, গুজবে কান দেবেন না। এর উদ্দেশ্য প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করা। গুজবের কারণে গ্রেপ্তার করেও ভয় দেখান হচ্ছে। সব চেয়ে ভয়ংকর সাংবাদিকদের পর্যন্ত লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে। শহিদুল আলমের মতো আলোকচিত্র শিল্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাক্‌স্বাধীনতা অধিকারের চর্চা পৃথিবীর যেকোনো সভ্য দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার। যে দেশে সাংবাদিকদের লাঞ্ছনা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় সে দেশকে সভ্য দেশ বলা যায় না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ছাত্রদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে। একদিকে আশ্বাস, আরেক দিকে ভয় দেখিয়ে এই ছাত্রগুলোকে রাস্তা থেকে ঘরে ফেরানো হয়েছে। কিন্তু যে দাবিতে তারা পথে নেমেছিল, নতুন আইনে সেই দাবির খুব অল্প অংশ মেনে নিয়ে তাদের এক ধরনের বুঝ দেওয়া হয়েছে নামেমাত্র। দাবি ছিল চালকের অপরাধে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটলে, দশ বছরের কারাদণ্ডের। হাইকোর্ট সাত বছরের রায় দিলেও আইন করা হয়েছে পাঁচ বছরের। চালকের অপরাধে যদি কেউ প্রাণ হারায় সেটা কি হত্যা নয়? হত্যার শাস্তি কেমন করে পাঁচ বছর হয়? একটা জীবন কি এতই সস্তা? সর্বনিম্ন শাস্তির কথা কিছু বলা নেই। তার মানে হত্যা করে চালক খালাসও হয়ে যেতে পারে আইনের ফাঁক গলে।

কাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইনের এই শিথিলতা? তবে কী বাস–ট্রাক চালক ও মালিক যাদের হাতে আছে প্রচুর টাকা আর ক্ষমতা, সাধারণ জনগণের চেয়ে তাদের স্বার্থ রক্ষাই সরকারের কাছে বেশি জরুরি? তারাই কী সরকারের ঘনিষ্ঠজন? এই ছাত্র আন্দোলন আমাদের আপামর জনগণের মাঝে আশার আলো জ্বালিয়েছিল। সেই ছাত্র আন্দোলনের ভীষণ বাস্তবসম্মত ন্যায্য দাবিগুলোকে সঙ্গে সঙ্গে মেনে নেওয়া হলো না কেন? সেই আন্দোলনকে দীর্ঘায়িত করে, রাজনীতি মিশিয়ে আন্দোলনকে দুর্বল করে দিয়ে, ভয় দেখিয়ে, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হলো। যে ছাত্রগুলো প্রাণের ঝুঁকি, স্কুলের টিসির ঝুঁকি নিয়ে, পড়ালেখা ক্ষতি করে আন্দোলন করল, আহত হলো, গ্রেপ্তার হলো, যে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হলো এবং সপ্তাহখানেক ধরে সারা দেশে জনজীবনে অপরিসীম দুর্যোগ, এ সবকিছুর বিনিময়ে আমরা কী পেলাম? এ দেশের জনগণ কী পেল?

আবারও দেশে পথেঘাটে নৈরাজ্য। উল্টো দিকের গাড়ি আসা। ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি না থামা। বেপরোয়া গাড়ি চালানো। আমরা পেলাম ঘরে ফেরা বাচ্চাগুলোর মানসিক বিপর্যয়, ভয়ংকর স্মৃতি, তাদের দিলাম এক বুক হতাশা আর ব্যর্থতা। জীবনের শুরুতে জানিয়ে দিলাম তোমাদের জীবন মূল্যহীন আর পেলাম একজন ব্যর্থ ইলিয়াস কাঞ্চনের আক্ষেপ, পথে পথে একাই ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:৫০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৮
৪৩৫ Time View

কী পেলাম আমরা ?

আপডেট সময় : ১১:৫০:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অগাস্ট ২০১৮

আশির দশকে এই ঢাকা শহরেই আমরা স্কুলে আসা–যাওয়া করতাম পায়ে হেঁটে। দলবেঁধে বান্ধবীরা একসঙ্গে বড় রাস্তা পার হতাম নির্ভয়ে। এমনকি ক্লাস ফাইভ–সিক্সেও। বর্তমান ঢাকা শহরে ফাইভ–সিক্সের বাচ্চা একা একা বড় রাস্তা পার হয়ে স্কুলে যাবে, এই সাহস করার মতো দুঃসাহস আছে কজন বাবা–মায়ের? নব্বইয়ের দশকে রিকশায় করে শিক্ষকের বাসা, কলেজ, সব জায়গাই গিয়েছি। এখন বাচ্চা তো দূরের কথা, বড় মানুষদেরই রাস্তা পার হতে ভয় লাগে। ট্রাফিক সিগনাল বলে যে একটা জিনিস আছে, পথচারীদের যে পথে চলার অধিকার আছে, নিয়ম আছে, সেটা যেন সবাই ভুলেই গেছেন। রাস্তায় যারা যানবাহন চালান, সেটা বাস হোক, ট্রাক হোক, সিএনজি হোক বা গাড়ি, সবাই ধরে নেন রাস্তাটা শুধু তার একারই এবং পয়সা বা ক্ষমতার বিনিময়ে যেকোনো আইনকেই কিনে নেওয়া যায়। বয়স্ক মানুষেরা ভয়ে রাস্তায় নামতেই চান না। স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য তাদের জন্য পায়ে হাঁটা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু স্বাস্থ্য রক্ষা করতে গিয়ে তো আর জীবনের ঝুঁকি নেওয়া যায় না।

এত গেল পথচারীদের দুর্ভোগ। যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও ভয়ংকর। ছোট কোনো যানবাহনে চড়লে প্রতিটা মুহূর্তে মনে হয় এই বুঝি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে গেলাম। গাড়িতে, সিএনজি বা রিকশায় থাকলে দুই বাসের মাঝে পড়ে সেকেন্ডের ব্যবধানে ঘটতে পারে যেকোনো ভয়ংকর দুর্ঘটনা। আর বড় যানবাহনে তো ওঠাই বিপদ। উঠতে উঠতেই হাত–পা ভাঙার আশঙ্কা। চালক কখন থামবে, কখন টান দেবে গাড়ি, সেটা তাদেরই মর্জি। ওঠার পড়ে ঝুলে থাকার কারণে থাকে হাত–পা ভাঙা ও জীবননাশের আশঙ্কা। নিয়ম না মেনে উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ি বা বাস, বেপরোয়াভাবে চালানো যানবাহন, সিগন্যাল না মেনে একে অপরকে ওভারটেক করা, প্রতিযোগিতা করা সবকিছুই যাত্রীদের জীবনের জন্য হুমকির কারণ। পাবলিক বাসে চড়া যেন এক স্নায়ুযুদ্ধ।

ধনী–গরিব নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষ এই ভোগান্তির শিকার। এ কথাগুলো কারওরই অজানা নয়। দুর্ভোগের চরম সীমায় পৌঁছে কোমলমতি শিশু–কিশোর ও তরুণ শিক্ষার্থীরা যখন প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নামল, যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজ করল, তারা কিন্তু শখ করে বা কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে এটা করেনি। তাদের আর হারানোর কিছু নেই। এই দেশের কাছ থেকে তারা আর কিছু আশা করতে পারে না বলেই এই ঝুঁকি তারা নিয়েছে। তাদের কোনো রকম রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। তারপরও তারা নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছে। এদের পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ছুড়েছে, লাঠির আঘাত করেছে। ছাত্র নামধারী গুন্ডারা পুলিশের চোখের সামনে এদের আক্রমণ করেছে। এই সব আক্রমণকারীদের পেছনে যদি কোনো ক্ষমতার কালো হাত না থেকে থাকে তাহলে পুলিশ কেন তাদের বাধা দেয়নি? এদের ছবিসহ প্রমাণ থাকর পরও কেন এদের গ্রেপ্তার করা হয়নি? উল্টো আন্দোলনকারী ছাত্রদের ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মতো স্বনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা হয়েছে। ২২ জন ছাত্রকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের মিডিয়াতে বারবার খবর দেওয়া হচ্ছে যে, সবই গুজব, গুজবে কান দেবেন না। এর উদ্দেশ্য প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করা। গুজবের কারণে গ্রেপ্তার করেও ভয় দেখান হচ্ছে। সব চেয়ে ভয়ংকর সাংবাদিকদের পর্যন্ত লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে। শহিদুল আলমের মতো আলোকচিত্র শিল্পীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাক্‌স্বাধীনতা অধিকারের চর্চা পৃথিবীর যেকোনো সভ্য দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার। যে দেশে সাংবাদিকদের লাঞ্ছনা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হয় সে দেশকে সভ্য দেশ বলা যায় না।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ছাত্রদের দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে। একদিকে আশ্বাস, আরেক দিকে ভয় দেখিয়ে এই ছাত্রগুলোকে রাস্তা থেকে ঘরে ফেরানো হয়েছে। কিন্তু যে দাবিতে তারা পথে নেমেছিল, নতুন আইনে সেই দাবির খুব অল্প অংশ মেনে নিয়ে তাদের এক ধরনের বুঝ দেওয়া হয়েছে নামেমাত্র। দাবি ছিল চালকের অপরাধে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটলে, দশ বছরের কারাদণ্ডের। হাইকোর্ট সাত বছরের রায় দিলেও আইন করা হয়েছে পাঁচ বছরের। চালকের অপরাধে যদি কেউ প্রাণ হারায় সেটা কি হত্যা নয়? হত্যার শাস্তি কেমন করে পাঁচ বছর হয়? একটা জীবন কি এতই সস্তা? সর্বনিম্ন শাস্তির কথা কিছু বলা নেই। তার মানে হত্যা করে চালক খালাসও হয়ে যেতে পারে আইনের ফাঁক গলে।

কাদেরকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইনের এই শিথিলতা? তবে কী বাস–ট্রাক চালক ও মালিক যাদের হাতে আছে প্রচুর টাকা আর ক্ষমতা, সাধারণ জনগণের চেয়ে তাদের স্বার্থ রক্ষাই সরকারের কাছে বেশি জরুরি? তারাই কী সরকারের ঘনিষ্ঠজন? এই ছাত্র আন্দোলন আমাদের আপামর জনগণের মাঝে আশার আলো জ্বালিয়েছিল। সেই ছাত্র আন্দোলনের ভীষণ বাস্তবসম্মত ন্যায্য দাবিগুলোকে সঙ্গে সঙ্গে মেনে নেওয়া হলো না কেন? সেই আন্দোলনকে দীর্ঘায়িত করে, রাজনীতি মিশিয়ে আন্দোলনকে দুর্বল করে দিয়ে, ভয় দেখিয়ে, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে থামিয়ে দেওয়া হলো। যে ছাত্রগুলো প্রাণের ঝুঁকি, স্কুলের টিসির ঝুঁকি নিয়ে, পড়ালেখা ক্ষতি করে আন্দোলন করল, আহত হলো, গ্রেপ্তার হলো, যে সাংবাদিক লাঞ্ছিত হলো এবং সপ্তাহখানেক ধরে সারা দেশে জনজীবনে অপরিসীম দুর্যোগ, এ সবকিছুর বিনিময়ে আমরা কী পেলাম? এ দেশের জনগণ কী পেল?

আবারও দেশে পথেঘাটে নৈরাজ্য। উল্টো দিকের গাড়ি আসা। ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি না থামা। বেপরোয়া গাড়ি চালানো। আমরা পেলাম ঘরে ফেরা বাচ্চাগুলোর মানসিক বিপর্যয়, ভয়ংকর স্মৃতি, তাদের দিলাম এক বুক হতাশা আর ব্যর্থতা। জীবনের শুরুতে জানিয়ে দিলাম তোমাদের জীবন মূল্যহীন আর পেলাম একজন ব্যর্থ ইলিয়াস কাঞ্চনের আক্ষেপ, পথে পথে একাই ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন।