ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুপিয়ে ফেসবুকে উচ্ছ্বাস, কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য গ্রেফতার

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:২৫:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
  • ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে ফেসবুকে উচ্ছ্বাস দেখানো কিশোর গ্যাংয়ের সেই ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি ধারালো চাপাতি, একটি রামদাসহ কয়েকটি মোবাইল ফোন।

সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার দশমী গ্রাম থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো— চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মাঝেরপাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে ওসমান গনি ওরফে আসিফ (১৯), একই এলাকার বিটুল পারভেজের ছেলে রাতুল (১৭), লিপুর ছেলে শিশির (১৬), বাগানপাড়ার রাশিদুল ইসলামের ছেলে সন্দ্বীপ (১৬), সিঅ্যান্ডবিপাড়ার মানিক মিয়ার ছেলে খালিদ (১৫), পোস্ট অফিসপাড়ার জিয়ারুল হকের ছেলে সোহান (১৬), সদর উপজেলার হাতিকাটা গ্রামের সোহেল রানার ছেলে অনিক জোয়ার্দ্দার (১৬), দৌলাতদিয়াড় গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে প্রিন্স (১৬) ও একই এলাকার আশরাফুলের ছেলে ইমন (১৬)।

জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ইমন রহমান নামে (১৪) এক স্কুলছাত্রকে রোববার রাতে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এর পর ফেসবুকে সেলফি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য।

পর দিন সোমবার সন্ধ্যায়  সদর উপজেলার দশমী গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি ধারালো চাপাতি, একটি রামদাসহ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান জানান, একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে রোববার সন্ধ্যার পর জেলা শহরের ইসলামী হাসপাতলের সামনে ইমন নামে এক স্কুলছাত্রকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাং। রাতে তারা সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
পরে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে দশমী গ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, একটি মোবাইল ফোন কেন্দ্র করে সোহান গ্রুপ ও জখম ইমন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত শুক্রবার সকালে ইমনসহ বেশ কয়েজন সোহানকে মারধর করে। ওই দিন দুপুরে সোহান গ্রুপের কয়েকজন ইমনের বাবার দোকানসহ বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পর দিন উভয়পক্ষের অভিভাবকের উপস্থিতিতে সদর থানায় বিষয়টি মীমাংসা হয়।

পরে রোববার সন্ধ্যায় সোহান গ্রুপের কয়েকজন ইমনকে একা পেয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। জখম ইমন রহমান (১৬) চুয়াডাঙ্গা শহরের চক্ষু হাসপাতাল পাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। সে বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।

Tag :

কালীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন

কুপিয়ে ফেসবুকে উচ্ছ্বাস, কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য গ্রেফতার

Update Time : ১১:২৫:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে ফেসবুকে উচ্ছ্বাস দেখানো কিশোর গ্যাংয়ের সেই ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি ধারালো চাপাতি, একটি রামদাসহ কয়েকটি মোবাইল ফোন।

সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার দশমী গ্রাম থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো— চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার মাঝেরপাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে ওসমান গনি ওরফে আসিফ (১৯), একই এলাকার বিটুল পারভেজের ছেলে রাতুল (১৭), লিপুর ছেলে শিশির (১৬), বাগানপাড়ার রাশিদুল ইসলামের ছেলে সন্দ্বীপ (১৬), সিঅ্যান্ডবিপাড়ার মানিক মিয়ার ছেলে খালিদ (১৫), পোস্ট অফিসপাড়ার জিয়ারুল হকের ছেলে সোহান (১৬), সদর উপজেলার হাতিকাটা গ্রামের সোহেল রানার ছেলে অনিক জোয়ার্দ্দার (১৬), দৌলাতদিয়াড় গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে প্রিন্স (১৬) ও একই এলাকার আশরাফুলের ছেলে ইমন (১৬)।

জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় ইমন রহমান নামে (১৪) এক স্কুলছাত্রকে রোববার রাতে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এর পর ফেসবুকে সেলফি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য।

পর দিন সোমবার সন্ধ্যায়  সদর উপজেলার দশমী গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি ধারালো চাপাতি, একটি রামদাসহ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান জানান, একটি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে রোববার সন্ধ্যার পর জেলা শহরের ইসলামী হাসপাতলের সামনে ইমন নামে এক স্কুলছাত্রকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে কিশোর গ্যাং। রাতে তারা সেলফি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
পরে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে দশমী গ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এলাকাবাসী জানান, একটি মোবাইল ফোন কেন্দ্র করে সোহান গ্রুপ ও জখম ইমন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত শুক্রবার সকালে ইমনসহ বেশ কয়েজন সোহানকে মারধর করে। ওই দিন দুপুরে সোহান গ্রুপের কয়েকজন ইমনের বাবার দোকানসহ বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পর দিন উভয়পক্ষের অভিভাবকের উপস্থিতিতে সদর থানায় বিষয়টি মীমাংসা হয়।

পরে রোববার সন্ধ্যায় সোহান গ্রুপের কয়েকজন ইমনকে একা পেয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। জখম ইমন রহমান (১৬) চুয়াডাঙ্গা শহরের চক্ষু হাসপাতাল পাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। সে বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।