খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র দুই প্রকৌশলীকে হুমকি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা বিএনপি নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। বুধবার (৫ মার্চ) খুলনা মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অব্যাহতি প্রদান করার বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মহানগরীর অর্ন্তগত খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করেছে বিএনপি।
মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনের বরাত দিয়ে মিডিয়া সেল জানিয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় মোল্লা সোহাগকে দলীয় পদ, প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে বেগম রেহানা ঈসাকে আহবায়ক করে ১ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র দুই প্রকৌশলীকে মোবাইল ফোনে হুমকি প্রদান এবং একজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ ওঠে খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে। গত সোমবার (৩ মার্চ) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত ও মো. গোলাম কিবরিয়াকে থানা বিএনপি’র ওই সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগ হোসেন মোবাইল ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়। একই দিন বিকালে নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াতকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
যদিও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ষড়যন্ত্রের শিকার বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি নেতা মোল্লা সোহাগ হোসেন। কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে লাঞ্ছিত করা প্রসঙ্গে মোল্লা সোহাগ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, উনাকে লাঞ্ছিত করা হয়নি। ওই প্রকৌশলীর সঙ্গে আমার দেখা হয়। সালাম বিনিময় হয়। উনি আমার সালামের উত্তর দেন। এরপর আমি উনার কাছে জানতে চাই যে, স্যার কুয়েটের কি অবস্থা এখন? উনি আমাকে বলেন, কুয়েটতো আপনারা উত্তপ্ত করেছেন। এরপর সাম্প্রতিক ছাত্র সংঘর্ষ নিয়ে আমি উনার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ি। এখানে তাকে হুমকি বা লাঞ্ছিত করা হয়নি।
সবুজদেশ/এসইউ