কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ২টি দেশিয় অস্ত্র ও ১১ রাউন্ড তাজা গুলি সহ এক বিএনপি নেতা ও তার ভাইকে আটক করেছে। ২৪ মার্চ সোমবার ভোররাতে উপজেলার আড়কান্দি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন— ভেড়ামরা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রোকনুজ্জামান রোকন ও তার ভাই বিএনপি নেতা কাকন। তবে রোকনের পরিবার দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত ৮টা থেকে উপজেলার আড়কান্দি এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম আহমেদের ছেলে হিমেলের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুল করিম গ্রুপের উপর গুলি চালানো হয়। এতে ফিরোজ আলী নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ সময় উভয় পক্ষ থেকে গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। এরপর বিএনপি নেতা কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। তারা অগ্নিসংযোগ করে ৩টি প্রাইভেট কার ও ১টি মোটরসাইকেল পোড়ান এবং বাড়ির সামনে থাকা সিসি ক্যামেরা ও এসি ভাঙচুর করেন।
এ ঘটনার পর, সোমবার ভোররাতে সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে ভেড়ামরা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রোকনুজ্জামান রোকনের বাড়িতে তল্লাশি করে ২টি দেশিয় অস্ত্র ও তাজা গুলি উদ্ধার করে। আটক করা হয় বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান রোকন ও তার ভাই কাকনকে। এ বিষয়ে ভেড়ামরা থানায় মামলা হয়েছে। তবে রোকনুজ্জামান রোকন ও তার ভাইকে আটক করা হওয়ার পর, তাদের স্ত্রী শামীমা সুলতানা দাবি করেছেন যে, এটি একটি সাজানো এবং মিথ্যা অভিযোগ।
সবুজদেশ/এসইউ