কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মুজিবুল হক নামে এক আইনজীবীকে পিটিয়ে আহত করেন দুর্বৃত্তরা।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না কেউ। তবে আধিপত্য বিস্তার ও আতঙ্ক তৈরির জন্য পরিকল্পিতভাবে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা। ভোটের দুই দিন আগে আদালতে দুর্বৃত্তদের এ হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে হঠাৎ আদালত চত্বরে প্রবেশ করেন।
প্রকাশ্যে তারা নির্বাচন উপলক্ষে সাঁটানো পোস্টার, ব্যানার, চেয়ার ও নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া কয়েকজন আইনজীবীর ব্যক্তিগত চেম্বারেও হামলা চালানো হয়। তবে ঘটনার পর হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে মুখ খুলছেন না আইনজীবীরা।
আইনজীবীরা জানান, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন।
এটিকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
তারা বলছেন, কারা হামলা করেছে সেটি পুলিশ তদন্ত করে বের করুক। আধিপত্য বিস্তার ও আতঙ্ক তৈরির জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা নিশ্চিত ভোটে হেরে যাবে বুঝতে পেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান আইনজীবীরা।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সবুজদেশ/এসইউ