কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আলোচিত ইউপি চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টুকে গুলি করে হত্যা মামলার আসামি লালন ওরফে শুটার লালনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের বৈরাগীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানা পুলিশের ওসি সোলাইমান শেখ।
গ্রেফতার লালন দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের পূর্ব ফিলিপনগর গ্রামের রঞ্জু মালিথার ছেলে। সে টুকু ও গিটু সোহাগ নামক সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের শুটার হিসেবে পরিচিত। চরাঞ্চলের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। লালনের নামে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও চাঁদাবাজি, দখলবাজি, অস্ত্র-মাদক ব্যবসা, চোরাকারবারি, লুটপাট, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইউপি কার্যালয়ের নিজ কক্ষে চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে প্রতিপক্ষের টুকু বাহিনীর লোকজন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। এতে সেন্টু চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় ওই বছরের ১ অক্টোবর নিহত চেয়ারম্যানের ছেলে আহসান হাবীব কনক বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন।
লালনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান সেন্টুকে নির্মম নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শুটার লালনের সরাসরি অংশগ্রহণ ছিল। এছাড়া ২০২৩ সালে দৌলতপুর উপজেলার চক দৌলতপুর গ্রামের মারুফ হত্যাকাণ্ডেও লালন জড়িত ছিল। স্থানীয়রা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সেন্টু হত্যা মামলার আসামি লালনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে বৈরাগীরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সবুজদেশ/এসএএস