ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি

  • সবুজদেশ ডেস্ক:
  • Update Time : ০৬:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে।

 

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদল অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে নগদ প্রায় ৩২ হাজার ৬০০ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে।

মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে এ ডাকাতি সংঘটিত হয়।

ডাকাতির শিকার হওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পোড়াদহ ইউনিয়নের সৌদিরাজপুর গ্রামের নিয়ামত আলীর স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৬০) বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সেখান থেকে লাশ নিয়ে তার স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সযোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। রাত ২টার দিকে দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে পানের বরজের কাছে ডাকাতদল অ্যাম্বুলেন্সের গতি রোধ করে। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম (৪২), আইলচারা গ্রামের আকছেদ মন্ডলের ছেলে শাহবুল, শিউলি খাতুন (৪৬) এবং ফেরদৌসি (৩২)।

রকিবুল ইসলাম বলেছেন, “গতকাল রাত ১০টার দিকে আমার বড় বোন আয়েশা খাতুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার লাশ নিয়ে আসার সময় ৪-৫ জন সন্ত্রাসী বাঁশ দিয়ে রাস্তা ব্লক করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমাদের থেকে টাকা-স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। আমার কাছে ২০ হাজার টাকা ছিল, ছোট বোনের কানের দুল ছিল, সব নিয়ে গেছে। অন্যদের কাছ থেকেও নগদ টাকা নিয়ে গেছে তারা।”

তিনি আরো বলেন, “কতবার মিনতি করেছি, আমার বোন মারা গেছে, আমরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে আসছি মেডিকেল থেকে, আমাদের কাছে কিছু নাই। এসব বলার পরও তারা জোরপূর্বক আমাদের কাছ থেকে সব নিয়ে যায়।”

আয়েশা খাতুনের ছোট বোন বলেন, “ডাকাতদের অনুরোধ করে আমরা বলি, ভাই আপনাদেরও মা-বোন আছে। আপনারা দেখেন, আমার বোন মারা গেছে। তবু, আমার কান থেকে ডাকাতদল এক জোড়া দুল নিয়ে যায়। এমনকি, ডাকাত দল লাশ ঢাকার কাপড় খুলে দেখে যে সত্যিই সে মারা গেছে কি না।”

মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেছেন, ডাকাতদের আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :

কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি

Update Time : ০৬:৩৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

 

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদল অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ব্যক্তিদের কাছ থেকে নগদ প্রায় ৩২ হাজার ৬০০ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছে।

মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন বুধবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে এ ডাকাতি সংঘটিত হয়।

ডাকাতির শিকার হওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পোড়াদহ ইউনিয়নের সৌদিরাজপুর গ্রামের নিয়ামত আলীর স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৬০) বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সেখান থেকে লাশ নিয়ে তার স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সযোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। রাত ২টার দিকে দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে পানের বরজের কাছে ডাকাতদল অ্যাম্বুলেন্সের গতি রোধ করে। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম (৪২), আইলচারা গ্রামের আকছেদ মন্ডলের ছেলে শাহবুল, শিউলি খাতুন (৪৬) এবং ফেরদৌসি (৩২)।

রকিবুল ইসলাম বলেছেন, “গতকাল রাত ১০টার দিকে আমার বড় বোন আয়েশা খাতুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার লাশ নিয়ে আসার সময় ৪-৫ জন সন্ত্রাসী বাঁশ দিয়ে রাস্তা ব্লক করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমাদের থেকে টাকা-স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। আমার কাছে ২০ হাজার টাকা ছিল, ছোট বোনের কানের দুল ছিল, সব নিয়ে গেছে। অন্যদের কাছ থেকেও নগদ টাকা নিয়ে গেছে তারা।”

তিনি আরো বলেন, “কতবার মিনতি করেছি, আমার বোন মারা গেছে, আমরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে আসছি মেডিকেল থেকে, আমাদের কাছে কিছু নাই। এসব বলার পরও তারা জোরপূর্বক আমাদের কাছ থেকে সব নিয়ে যায়।”

আয়েশা খাতুনের ছোট বোন বলেন, “ডাকাতদের অনুরোধ করে আমরা বলি, ভাই আপনাদেরও মা-বোন আছে। আপনারা দেখেন, আমার বোন মারা গেছে। তবু, আমার কান থেকে ডাকাতদল এক জোড়া দুল নিয়ে যায়। এমনকি, ডাকাত দল লাশ ঢাকার কাপড় খুলে দেখে যে সত্যিই সে মারা গেছে কি না।”

মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেছেন, ডাকাতদের আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।

সবুজদেশ/এসএএস