এবার কুষ্টিয়ার মিরপুরে ফিরোজ আহমেদ নামের এক সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়েছে। তিনি স্থানীয় দৈনিক আজকের সূত্রপাত পত্রিকায় কাজ করেন। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নামাজে যাওয়ার পথে তাঁর ওপর হামলা হয়। হামলাকারীরা তাঁকে মাটিতে ফেলে লোহার রড ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর জখম হন ফিরোজ। পরে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ফিরোজ পত্রিকাটির মিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি মিরপুর প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া স্থানীয় বেসরকারি একটি এনজিওর নির্বাহী পরিচালকও। হামলায় তাঁর বাঁ পা, ডান হাত ও মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।
জানা যায়, গত সপ্তাহে ফিরোজের নাতির সঙ্গে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মিলন নামে একজনের ছেলের ঝগড়া ও মারামারি হয়। এ ঘটনায় ফিরোজ ওই ছেলেকে থাপ্পড় দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন মিলন। এ নিয়ে মিরপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
ফিরোজের পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে ফিরোজ বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় সড়কে ওত পেতে থাকা মিলনসহ কয়েকজন তাঁকে ঘিরে ধরে। তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকেন। মাটিতে ফেলে তারা ফিরোজের হাত-পা ও মাথায় আঘাত করেন। শরীরের বিভিন্ন জায়গায়ও পেটানো হয়। একপর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, ফিরোজের সারা শরীরে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। ফিরোজের চিকিৎসায় সঙ্গে থাকা মিরপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, মাথায় ১৮টি সেলাই পড়েছে। বাম পায়ের একাধিক জায়গা ভেঙে গেছে।
সবুজদেশ/এসইউ