কুষ্টিয়ায় আদিবাসি পল্লী দখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
কুষ্টিয়াঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আদিবাসি পল্লী জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বসবাসরত ভুক্তভোগীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ উপজেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয় ও উপজেলা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচীও পালন করেন তারা। পরে উপজেলা প্রশাসন তাদের আশ্বাস দিলে তারা উপজেলা চত্বর ত্যাগ করেন।
এদিকে বুধবার সকাল ১১টার দিকে পৌর এলাকার বাসিন্দা তুহিন বিশ্বাস তার সদলবলে দখল প্রক্রিয়া শুরু করতে আদিবাসি পল্লীতে গেলে সেখানে বসবাসরত আদিবাসি পল্লীর মানুষের রোষানলে পড়ে। সেখান থেকে ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় তারা। প্রতিবাদে আদিবাসি পল্লীর বাসিন্দারা কুমারখালী বাসস্ট্যান্ডে তুহিন বিশ্বাসের শাস্তি দাবী করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে তারা বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন তিন বিঘা অর্পিত সম্পত্তির ওপর বসবাস করে আসছিল আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। বিধি অনুযায়ী ওই জমির খাজনাও পরিশোধ করে আসছি আমরা। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন এই সম্পত্তির ওপর লোলুপ দৃস্টি পড়ে কুমারখালী পৌর এলাকার বাসিন্দা তুহিন বিশ^াসের। তাই আজ সকালে তুহিন বিশ্বাসের লোকজন দখল করতে আসলে আদিবাসি পল্লীর বাসিন্দাদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় তারা।
অভিযুক্ত তুহিন বিশ্বাস বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসতভিটা ও আমার নিজস্ব জমির দাগ নম্বর আলাদা মৌজা। সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তির জন্য কয়েকমাস আগে পৌরসভার মেয়র ও সার্ভেয়ারের উপস্থিতে জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আদিবাসীদের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। আর আমি ওদের জমি দখল করতে যাবো কেন? ওদের বসতভিটার পাশে আমার আরো জমি আছে। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উস্কে দিচ্ছে আদিবাসিদের।
কুমারখালী সহকারী কমিশনার (ভুমি) এমএ মোহাইমিন আল জিহান বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে সরকারী জমি বন্দোবস্ত নিয়ে বসবাস করছে আদিবাসি পল্লীর বাসিন্দারা। আইন তাদের পক্ষেই কথা বলবে।
কুমারখালী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলসহ থানায় এসেছিলেন। তবে তারা কোন অভিযোগ দেননি। লিখিত অভিযোগ দিলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।