কুষ্টিয়াঃ

কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পোড়াদহের কাটদহ গ্রামে ছেলের হাতে মা খুন হয়েছে। ছেলে ও তার বন্ধু মিলে ৩৫ দিন আগে মা-কে মেরে বস্তাবন্দী করে পুকুরে পুঁতে রাখে।

৩৫ দিন পরে লাশ উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। এ বিষয়ে রাব্বি নামে একজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। নিহত মহিলা পোড়াদহ উত্তরপাড়া ফজলের স্ত্রী মমতাজ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত মমতাজ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। নিহতের জামাতা মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করার পরে কুষ্টিয়ার ডিবি পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে গতকাল রাব্বি নামে একজনকে আটক করে। পরে তার জিজ্ঞাবাসে স্বীকার করে প্রায় একমাস সাত দিন আগে তার বন্ধুর মাকে খুন করেছে তারই আপন ছেলে মুন্না। পরে তার মায়ের লাশ বাড়ির পাশে পুকুরে মাটি খুড়ে দাফন করেন। আজ দুপুরে তদন্ত সাপেক্ষে ও স্বীকারোক্তি মূলক কথায় ‍ঘটনাস্থল ডিবি পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মিরপুর থানায় মমতাজ নামে একজন নিখোঁজ হওয়া সাধারণ ডায়েরী হয়েছে। এরপর তদন্ত সাপেক্ষে ডিবি পুলিশ রাব্বি নামে একজনকে আটক করে। পরে তার জিজ্ঞাসাবাদের পর নিহতের ছেলের সহযোগিতায় মমতাজকে হত্যা করা হয়।

পরে লাশ বাড়ীর পাশে গোপনে দাফন করেন। তবে নিহতের ছেলে মুন্নাকে এখন পর্যন্ত আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে অতি শীঘ্রই তাকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য যে, পারিবারিকভাবে মমতাজসহ তার চার বোনের মধ্যে টাকা ভাগাভাগি করে। নিহত মমতাজও ভাগের অংশ পায়। ভাগের অংশ টাকা নিহতের ছেলে মুন্না তার কাছ থেকে কেড়ে নিতে চাইলে মমতাজ টাকা দিতে অস্বীকার করলে নিহতের ছেলে মুন্না ক্ষিপ্ত হয়ে তার বন্ধুর সহযোগিতায় তাকে হত্যা করে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here