কুষ্টিয়াঃ
ভারতফেরত ১১৬ জনকে কুষ্টিয়ার শহরের তিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ৩৬ জন ও রোববার রাতে ৮২ জন ভারত থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর হয়ে কুষ্টিয়ায় এসেছেন।
শনিবার আসাদের মধ্যে দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে রোববার। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মে) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম।
করোনা আক্রান্ত দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ১২ বছর অন্যজনের ৩৯ বছর। কিশোরটিকে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে তার মাও ছিলেন। কিন্তু করোনা ধরা পড়ার পর তাকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। আরেকজন ছিলেন আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে। রোববার রাতে তাকেও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের দুজনের শারীরিক অবস্থা ভালো।
জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে ভারত থেকে দর্শনা বন্দর হয়ে আসা ৩৬ জনের মধ্যে দুজনের করোনা ধরা পড়ে। রোববার সকালে ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় করোনা পরীক্ষার জন্য। নমুনাগুলো কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। করোনা আক্রান্ত দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে রোববার রাতে। বাকি আটজন আবাসিক হোটেল ও ২৬ জন প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
এদিকে আরও ৮২ জন রোববার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কুষ্টিয়ায় এসেছেন। তাদেরও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। দুই দিনে মোট ১১৮ জনকে কুষ্টিয়ার তিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে সেন্টারে রাখা হয়েছে। তাদের দেখভালে ও চিকিৎসাসেবায় কাজ করছে সিভিল সার্জনের কয়েকটি মেডিকেল টিম।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাইফুর রহমান বলেন, রোববার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা আরও ৮২ জনকে কুষ্টিয়ায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে কুষ্টিয়ার তিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১১৮ জনকে রাখা হলো।
কুষ্টিয়া শহরের আবাসিক হোটেল, সরকারি-বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানানো হয়েছে। এখন তিনটি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিটি সেন্টারের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটও নিযুক্ত করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভারতফেরতদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। আমরা তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে কাজ করছি। তাদের চিকিৎসাসেবায় আমাদের কয়েকটি টিম কাজ করছে। তারা প্রতিদিন প্রতিটি সেন্টারে গিয়ে চিকিৎসাসেবায় কাজ করছে। নিয়মিত তাদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করবে মেডিকেল টিমগুলো।