ফাইল ফটো

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অষ্টম শ্রেণির এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে মিরপুর থানায় ওই মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা।

এ ঘটনা জানাজানির পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত আব্দুল কাদের (৪২)।অভিযুক্ত আব্দুল কাদের মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসার সুপার (প্রধান শিক্ষক) ও ওই এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন ওই মাদ্রাসার প্রধান আব্দুল কাদের। সোমবার বিষয়টি ওই ছাত্রী তার এক সহপাঠীকে জানায়। পরে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।

ওই শিক্ষার্থীর বাবার দায়ের করা এজাহারে জানা যায়, রোববার বিকেলে ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রীর অভিভাবক তার মেয়ের খাবার দিতে গেলে অফিস কক্ষে শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। বিষয়টি সোমবার সকালে ভিকটিমের পরিবারকে অবহিত করলে ওই ছাত্রীর মা মাদ্রাসায় এসে তার মেয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা জানতে পারেন। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল কাদের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায় বলে জানায় সে।

তিনি এজাহারে আরো উল্লেখ করেন, মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাদের আমার মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক (০৪ অক্টোবর) ভোর ৫টার সময় এবং একইদিন রাত ৮টার সময় ধর্ষণ করে।

পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী। সপ্তাহের ছয় দিন সে ওই মাদ্রাসায় থাকতো। প্রতি শুক্রবার সকালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যেত, আবার শনিবার সকালে পৌঁছে দিত। গত শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা তাকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। পরে রোববার ভোরে ফজরের নামাজের সময় মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাদের মেয়েটিকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে দ্বিতীয় দফা্ও ধর্ষণ করেন। সুপার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েটিকে শাসিয়ে দেন। এরপরও মেয়েটি সোমবার সকালে তার এক সহপাঠিকে বিষয়টি জানায়। আর ওই সহপাঠি ঘটনাটি নিজের বাবাকে জানালে তা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here