কুষ্টিয়ায় সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে একজনের মৃত্যু
কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ায় সকালে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি তিনদিন ধরে সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আইইডিসিআর নিয়ম মেনে লাশ দাফন করা হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, সকালে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির বয়স (৪৩) পেশায় ইজিবাইকচালক ছিলেন। কুষ্টিয়ার শহরের চৌড়হাঁস এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত শুক্রবার তার সর্দি দেখা দেয়। এরপর কাশি ও শ্বাসকষ্ট হতে থাকে। সকালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে তিনি নিস্তেজ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
আরএমও তাপস কুমার সরকার বলেন, ইজিবাইকচালকের পরিবারে কোনো বিদেশি নেই বলে তারা জানতে পেরেছেন। কিন্তু ইজিবাইক চালানোর সময় করোনাভাইরাসের বাহক কারো সংস্পর্শে যেতে পারেন। এ জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। এরপর লাশ সিভিল সার্জনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কয়েকজনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, ওই ব্যক্তির গ্রামের বাড়িতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরীকে পুলিশসহ পাঠানো হয়েছে। নমুনার প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বাড়িটি লকডাউন করা থাকবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিহতের বাড়ি ভেড়ামারা উপজেলার পৌর এলাকা নওদাপাড়া ক্লিক মোড় সন্নিকটে মো. নোয়ালী সরদারের ছেলে আশরাফ (৪৩)। সে প্রায় ৮-১০ বছর ধরে কুষ্টিয়া বটতোল তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করে আসছিল।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে আইইডিসিআর নিয়ম মেনে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতে ভেড়ামারা ফারাকপুর গোরস্থানে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়।