ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় সুখনগর বস্তি উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

Reporter Name

কুষ্টিয়াঃ

কুষ্টিয়া শহরের সুখনগর রেল বস্তি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বস্তির বাসিন্দারা। সোমবার বেলা ১২টার দিকে শহরের কালেক্টরেট চত্বর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করে বস্তির বাসিন্দা ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। পরে রেল বস্তিতে বসবাসরত বাসিন্দারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়। জেলা প্রশাসক তাদের আশ্বাস দিলে তারা কালেক্টরেট চত্বর ত্যাগ করেন।

মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে সুখনগর বস্তির আনোয়ারা বলেন, এই বস্তিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাসরত সবাই আমরা গরীব। বিভিন্ন মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করে চলে আমাদের সংসার। আজকে কেউ কাজে যায়নি। আগে তো থাকার জায়গা বাঁচাতেই হবে। আমরা কি এ দেশের নাগরিক না। রোহিঙ্গারা অন্য দেশের নাগরিক হয়ে থাকতে পারে। আমরা কি তাহলে? আমাদের ভোট নিয়ে এদেশের সরকার গঠন করে। অন্য জায়গা না দিয়ে এমন উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত। তাহলে আমরা কই যাব?

বস্তিতে বসবাসরত কুমার বলেন, আমাদের থাকার জায়গা বাঁচাতেই হবে। তা না হলে পরিবারের লোকগুলোকে নিয়ে কই যাব। এর জন্য আমরা জীবন দিতি রাজি আছি। তাই সরকারের কাছে দাবি শুধু একটু থাকার জায়গা চাই। তা না হলে বিষ খাওয়া ছাড়া উপায় নাই আমাদের।

এ সময় বস্তির কয়েকজন বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান,দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে এই রেল লাইনের পাশে সুখনগর বস্তিতে বসবাস করছি। আমাদের পুনর্বাসন না করে হঠাৎ মাইকিং করে অতিপ্রয়োজনীয় ও মূল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে নিতি বলছে প্রশাসন। আমাদের মত অসহায় মানুষ গুলোর কথা চিন্তা না করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন মাইকিং আমাদের হতাশ করেছে। এখন সুখনগর বস্তির বাসিন্দারা উচ্ছেদ আতঙ্কে আছেন। তাই এর প্রতিবাদে বস্তিবাসীরা কালেক্টরেট চত্বরে এসে মানববন্ধন করছি।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০৩:২০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০
৪২৩ Time View

কুষ্টিয়ায় সুখনগর বস্তি উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

Update Time : ০৩:২০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০

কুষ্টিয়াঃ

কুষ্টিয়া শহরের সুখনগর রেল বস্তি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বস্তির বাসিন্দারা। সোমবার বেলা ১২টার দিকে শহরের কালেক্টরেট চত্বর বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করে বস্তির বাসিন্দা ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। পরে রেল বস্তিতে বসবাসরত বাসিন্দারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়। জেলা প্রশাসক তাদের আশ্বাস দিলে তারা কালেক্টরেট চত্বর ত্যাগ করেন।

মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে সুখনগর বস্তির আনোয়ারা বলেন, এই বস্তিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাসরত সবাই আমরা গরীব। বিভিন্ন মানুষের বাসা বাড়িতে কাজ করে চলে আমাদের সংসার। আজকে কেউ কাজে যায়নি। আগে তো থাকার জায়গা বাঁচাতেই হবে। আমরা কি এ দেশের নাগরিক না। রোহিঙ্গারা অন্য দেশের নাগরিক হয়ে থাকতে পারে। আমরা কি তাহলে? আমাদের ভোট নিয়ে এদেশের সরকার গঠন করে। অন্য জায়গা না দিয়ে এমন উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত। তাহলে আমরা কই যাব?

বস্তিতে বসবাসরত কুমার বলেন, আমাদের থাকার জায়গা বাঁচাতেই হবে। তা না হলে পরিবারের লোকগুলোকে নিয়ে কই যাব। এর জন্য আমরা জীবন দিতি রাজি আছি। তাই সরকারের কাছে দাবি শুধু একটু থাকার জায়গা চাই। তা না হলে বিষ খাওয়া ছাড়া উপায় নাই আমাদের।

এ সময় বস্তির কয়েকজন বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান,দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে এই রেল লাইনের পাশে সুখনগর বস্তিতে বসবাস করছি। আমাদের পুনর্বাসন না করে হঠাৎ মাইকিং করে অতিপ্রয়োজনীয় ও মূল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে নিতি বলছে প্রশাসন। আমাদের মত অসহায় মানুষ গুলোর কথা চিন্তা না করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন মাইকিং আমাদের হতাশ করেছে। এখন সুখনগর বস্তির বাসিন্দারা উচ্ছেদ আতঙ্কে আছেন। তাই এর প্রতিবাদে বস্তিবাসীরা কালেক্টরেট চত্বরে এসে মানববন্ধন করছি।