সবুজদেশ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় তীব্র সমালোচনা চলছে দেশ বিদেশে। এ নিয়ে বিতর্কে তোলপাড় হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে কেউ রাজপথে নেমেছেন, আবার কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করছেন।

ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার। এর জেরে রোববার রাতে আবরারকে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

আবরারের ক্ষত-বিক্ষত পিঠের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ছবি দেখে চোখের পানি ফেলছেন দল-মত নির্বিশেষে সবাই। অনেকেই ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাসের পাশাপাশি জানাচ্ছেন তীব্র প্রতিবাদ।

আবরারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেন, বুয়েটের নিউজটা মাত্র দেখলাম। দেখে গলাটা শুকাইয়া গেলো। এই সমাজইতো আমরা সবাই মিলে বানাচ্ছি, নাকি? যেখানে আমার মতের বিরোধী হলে তাকে নির্মূল করা আমার পবিত্র দায়িত্ব। আমাদের সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয় নেতারা সবাই মিলে তো এতো বছর এই কামই করছি, এই ভাবেই একটা প্রজন্ম বানাইছি! আর আমাদের এই নির্মূলবাদী মন বানানো হইছে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের ওয়ার্কশপে! তাই আমি তোমাদের অভিশাপ দেই! আমি অভিশাপ দেই কারণ তুমি এই ঘৃণা আর নির্মূল তত্ত্বকে মহৎ বানিয়ে প্রচার করেছো দেশের নামে, জাতীয়তার নামে, ধর্মের নামে, লিঙ্গের নামে, আমার নামে, তোমার নামে! আমি অভিশাপ দেই তাদের যারা আমাদের সমাজটাকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করালো যেখানে অপ্রিয় কথা বলার জন্য সহপাঠীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়! আমি অভিশাপ দেই! অভিশাপ দেই! অভিশাপ দেই! কারণ আমার কিচ্ছু করার ক্ষমতা নাই, কেবল অভিশাপ দেয়া ছাড়া!

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here