বিয়ে করে স্বামীর অর্থ হাতানোই ঝিনাইদহের চম্পা খাতুনের পেশা ! জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকেঃ নাম তার চম্পা খাতুন। বয়স ৪০ বছর। এপর্যন্ত বিয়ে করেছেন ৭ টি। সকলের সাথে ছাড়াছাড়ি হয়েছে শালীসি বৈঠক ও আদালতে মামলার মাধ্যমে। বর্তমানে তার পেশা হচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করে স্বামীর অর্থ হাতানো। ৭ম স্বামী তার হাত থেকে রক্ষা পেতে ঝিনাইদহ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। চম্পা খাতুনের বিরুদ্ধে তার প্রাক্তন কয়েকজন স্বামী থানায় অভিযোগও দিয়েছেন। জানা গেছে, ঝিনাইদহের শহরের মথুরাপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে চম্পা খাতুন। ২২ বছর আগে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মহসিনের সাথে ১ম বিয়ে হয় তার। কয়েকবছর পর ২ লাখ টাকা নিয়ে স্বামীকে তালাক দেয়। প্রেমের জের ধরে ২য় বিয়ে হয় শহরের গয়েশপুর গ্রামের মামুনের সাথে। ১ বছর সংসার করার পর ৩ লাখ টাকা নিয়ে সেই স্বামীকেও তালায় দেয় চম্পা খাতুন। একই ভাবে হরিণাকুন্ডু উপজেলার রফিকুলকে ৩য় বিয়ে করে সে। বিয়ের পর থেকেই তার সাথে সর্ম্পক ছিন্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগে পড়ে। বিভিন্ন ভাবে যৌতুক মামলা দিয়ে হয়রানি করতে শুরু করে। পরে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে স্বামীকে তালাক দেয়। এমনিভাবে সর্বমোট ৭ টি বিয়ে করেছেন তিনি। প্রত্যেক স্বামীকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে শুরু করে অশান্তি। শেষে টাকা নিয়ে তালাক দেয়। ৭ম স্বামী সদর উপজেলা বানিয়াকান্দর গ্রামের মনিরুল ইসলাম জানান। গ্রামের আত্মীয় চম্পা খাতুন। কয়েকবার দেখা হওয়ার পর প্রেমের প্রস্তাব দেয় চম্পা। ২ মাস প্রেম চলার পর বাড়ীনে ডেকে নিয়ে আটকে আমাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে চম্পা খাতুন আর আমার বাড়িতে আসেনি। ১ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। মামলার পর সাড়ে ৫ লাখ টাকা নিয়ে মামলা মিমাংসা করে মামলা প্রত্যাহার করে। এরপরও আবারো মামলা করে চম্পা। তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আইনের আশ্রয় চেয়েছেন ৭ম স্বামী মনিরুল ইসলাম। এব্যপারে চম্পা খাতুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার ১১ বছর বয়সে আমার প্রথম বিয়ে হয়। সেখানে আমার ২টি সন্তান আছে। আমার ৭ টি না ৩ টি বিয়ে হয়েছে। আমি মনিরুলের সাথে সংসার করতে চাই। মামলায় বিষয়ে তিনি বলেন, মামলায় কোন মিমাংসা হয়নি। মনিরুল আমার বিষয়ে মিথ্যাচার করছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here