আষাঢ়ের প্রথম থেকে শ্রাবণের শেষ সপ্তাহ অবদি কখনো ভারি কখনো থেমে থেমে আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আর এই টানা বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার অধিকাংশ ফসলি জমি। পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে ২৫০ হেক্টর জমির ফসল। প্রণোদনার জন্য ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১২ হাজার ৮০৮ হেক্টর আবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে ৪৬ দশমি ৫ হেক্টর জমির ফসল। য়ার ভেতর রয়েছে ৩ হেক্টর আমনের বীজতলা,আমন ধান ৪ হেক্টর, মরিচ ২০ হেক্টর, সবজি ৬ হেক্টর এবং আউশ ধান ১৩ হেক্টর। ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি অফিস চাষিদের স্বল্প জীবনকালের ধানের জাতের বীজতলা তৈরির পরামর্শ দিয়েছে যাতে জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চারা রোপণ করা যায়।
কুশনা ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তার দুই পাশের জমিগুলোয় ধান চাষ হয়। সে অনুযায়ী এ বছরও চাষ করা হয়েছিল। তবে দুই মাসের টানা বর্ষণে জমি তলিয়ে চারা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পানি নেমে গেলেও এ বছর আর আবাদ করা সম্ভব না। কারণ, চাষ করতে যে চারা লাগবে, তা কোথায় পাব? আমাদের মাঠের ১৫০-২৫০ বিঘা জমিতে এবার ফসল করা যাবে না।
বহরমপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম নজু বলেন, অতি বৃষ্টিতে উঁচু জমিতে ক্ষতি হয়েছে পেঁপে, বেগুন, ঝাল পটল,করলসহ বিভিন্ন সবজির। আর নিচের জমিগুলোয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান, যা এ বছর আর হবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদ হোসেন বলেন, চাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বল্প জীবনকালের বিনা-৭ বিনা১৭ বিরি ৭৫ ধানের বীজতলা তৈরিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যাতে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে জমিগুলোয় আবার চাষ করা যায়। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো প্রণোদনা আসে তা ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়া হবে। তাছাড়াও কৃষি অফিস কৃষকদের সকল পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে।
সবুজদেশ/এসএএস