ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে গলায় দড়ি দিয়ে সাইমন হোসেন ১৬ নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (০১ মার্চ ) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, লক্ষিপুর গ্রামের দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্র সাইমন এর সাথে পার্শ্ববর্তী ওয়াড়িয়া গ্রামের সানার হোসেনের মেয়ে রুবিনা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। একপর্যায়ে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে সাইমনের বাবা রুবিনার পরিবারের কাছে আর ওয়ান মোটরসাইকেলের দাবি করেন। সেই ক্ষোভে পিতার উপর অভিমান করে শনিবার রাতে নিজের শোবার ঘরে গলায় দড়ি দেন।
সকালে পরিবারের লোক অনেক ডাকাডাকি করেন। এরপর তার সাড়া শব্দ না পেলে জানালা দিয়ে দেখতে পান তার মৃত দেহ ঝুলে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, রবিবার দুপুরে লক্ষিপুর গ্রামের মন্টু শেখ লিখিত আকারে জানান, তার ছেলে সাইমন শেখ গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছেন। খবর পেয়ে আমি ও থানার এস আই অমিয় কুমার ঘটনাস্থল যায়। এরপর মৃত দেহের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর বলা সম্ভব হবে প্রকৃত অর্থে কি ঘটেছিল। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
সবুজদেশ/এসইউ