কোটচাঁদপুরে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়িতে ডাকাতি
হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের এক গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালোংকার নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামে। সুবল প্রামানিক কোটচাঁদপুরের ঘাঘা গ্রামের মৃত শরৎ চন্দ্র প্রামানিকের ছেলে।
ভুক্তভোগী সুবল প্রামানিক সবুজদেশ নিউজকে বলেন, শুক্রবার রাতে আমার বাড়িতে হালখাতা ছিল। হালখাতা শেষ করে আমি রাতে খাবার খেতে বসেছিলাম। এ সময় সুনিল হালদার বাড়িতে যাবার জন্য বাইরের দরজা খোলেন। এরপর ডাকাতরা তাকে ও তার জামাই অরুন কুমার রায় কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। পরে তারা বেশ কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাড়ির মধ্যে এসে আমাদের সবাইকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। এরপর তারা আমার হালখাতার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও জামাইয়ের কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা লুট করেন। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা ছিনিয়ে নেন আমার স্ত্রী ও মেয়ের কানের দুল।
তিনি আরো বলেন, ডাকাতদের হাতে থাকা দায়ের পিছন দিয়ে সবাইকে আঘাত করেন। এতে করে আমার মেয়ে মিতা রায়, স্ত্রী লিপিকা বিশ্বাস, জামাই অরুন রায়, প্রতিবেশী সুনিল হালদার ও আমি নিজে আঘাত প্রাপ্ত হয়। ওই রাতে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনার পর পুলিশ এসেছিল বাড়িতে। থানায় কোন অভিযোগ করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখনো কোন অভিযোগ করা হয়নি। পুলিশ তো সব কিছু দেখে লিখে নিয়ে গেছেন।
কোটচাঁদপুরের তালসার পুলিশ ফাঁড়ির সহ-উপপরিদর্শক (এএসআই) সমির কুমার সবুজদেশ নিউজকে বলেন, রাত ১১ টা ৫ মিনিটের সময় অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন আসে। বলেন ঘাঘা পাড়ায় কিসের শব্দ হচ্ছে। এরপর তিনি ফাঁড়ির জরুরি পার্টিকে ঘটনাস্থলে যেতে বলি। পরে মোটরসাইকেল যোগে আমিও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এরপর বিষয়টি ওসি স্যারকে জানায়।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর সবুজদেশ নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। যে বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে তিনি গ্রাম্য পশু চিকিৎসক। তিনি বলছেন দস্যুরা ২ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী এখনো পর্যন্ত মামলা বা অভিযোগ করেনি। তবে আমরা আমাদের মত করে তদন্ত শুরু করেছি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সবুজদেশ/এসএএস