ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে শিশুকে বিষ পান করিয়ে হত্যার অভিযোগে সৎ মা হুমায়রা খাতুন বন্যাকে গ্রেফতার করেছে ঝিনাইদহ র্যাব-৬। গেল রাত ১টার দিকে অভিযান চালিয়ে মহেশপুরের শিশুতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা অপু কুমার বিশ্বাস বলেন, “মামলার পর থেকে বন্যাকে ধরতে অভিযান চলছিল। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব মহেশপুরের শিশুতলা গ্রামে অভিযান চালায়। এরপর তাঁর ফুপু বাড়ি থেকে তাকে আটক করে। পরে বন্যাকে কোটচাঁদপুর থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।”
তিনি বলেন, “তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তাকে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বলা সম্ভব না। তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। হুমাইয়রা খাতুন বন্যা কোটচাঁদপুরের ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে।”
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাঈম জানান, গত ১ মার্চ সন্ধ্যায় বোতলে তরল পানীয় এর সাথে বিষ মিশিয়ে শিশু মাহামুদা খাতুনকে খাইয়ে দেয় সৎ মা হুমাইরা খাতুন বন্যা। এরপর কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুটি মারা যায়। পরে গত ৭ তারিখ শুক্রবার শিশুটির পিতা শাহিন আলম বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় স্ত্রী হুমাইরা খাতুন ওরফে বন্যা খাতুন এর নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় মামলার আসামী ধরতে অভিযান শুরু করে র্যাব। এরই প্রেক্ষিতে গেলরাতে মহেশপুর উপজেলার চাদপুর গ্রামের শিশুতলা এলাকা থেকে হুমাইরা খাতুন বন্যা কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে কোটচাঁদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামীকে থানা পুলিশ আদালতে প্রেরণ করেছে।
বাদির অভিযোগে জানা যায়, গত ১ মার্চ বিকেলে বন্যা খাতুন কৌশলে কোমল পানীয় এর সাথে মিশিয়ে বিষ খাওয়ায় শিশু মাহমুদাকে। এরপর মাহমুদাকে প্রথমে কোটচাঁদপুর, এরপর যশোর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে আসার পর মাহমুদা আবারও গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। ওই সময় তাকে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করায় তাঁর পিতা শাহিন আলম। পরে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই ঘটনায় মাহমুদার পিতা বাদি হয়ে গত ৭ মার্চ সন্ধ্যায় স্ত্রী বন্যার নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সবুজদেশ/এসএএস