চোর ধরা পড়ার পর ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দেয়ায় চোরদের অভয়ারণ্যে হয়েছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। একের পর এক ঘটেই চলেছে চুরির ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে এক রোগী দম্পতির শয্যা থেকে চুরি হয়েছে নগদ টাকা ও স্বর্ণালোংকার।
ভুক্তভোগী আকিদুল ইসলাম বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারী বিকেলে অসুস্থ্যতা নিয়ে আমি ও আমার স্ত্রী ভর্তি হয়েছিলাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বৃহস্পতিবার রাত ৩ টার সময় আমাদের শয্যার পাশে রাখা টাকা ও গহনার ব্যাগ নিয়ে যায় চোরেরা। যার মধ্যে নগদ ৬০ হাজার টাকা ১ টা চেইন ও ২ টা আংটি ছিল। এতে করে দুই লাখ টাকা খোয়া গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি ডিলার শিপের ব্যবসা করি। আমরা অসুস্থ্য হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকায় বিক্রয় প্রতিনিধিরা এখানে এসে টাকা দিয়ে যান। আর গহনা আমাদের সাথেই ছিল। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। আকিদুল ইসলাম চৌগাছা থানার স্বরুপ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কোটচাঁদপুরে ব্যবসা করেন।
একই রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডায়রিয়া ওর্য়াডের রোগী ফারজানা খাতুনের শয্যা থেকে নিয়ে গেছেন ঔষধ কেনার ১ হাজার টাকা। তিনি বলেন, চোরেরা দেয়াল দিয়ে জানালায় আসে। এরপর জানালা থেকে ব্যাগ হাতে নেন। এ সময় টের পেয়ে চোরের হাত ধরার পর চোর টাকা নিয়ে ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যান।
একইভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃ বিভাগ ও অন্তঃ বিভাগে দিনে রাতে প্রতিনিয়ত চুরি সংগঠিত হচ্ছে। আর এই চুরির শিকার হচ্ছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। চোরেদের হাত থেকে রক্ষা পাননি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরের আবাসিক ভবনে থাকা চিকিৎসক ও সেবিকা ও স্টাফরা। চোরেরা নিয়ে গেছেন চিকিৎসকদের ভবন থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, রাউটারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। আর সেবিকাদের ভবন থেকে নিয়ে গেছেন নগদ টাকা, স্বর্নালোংকার সহ ব্যবহারের বিভিন্ন জিনিসপত্র।
অভিযোগ রয়েছে এ সব ঘটনার একটির ব্যবস্থা নেননি কতৃপক্ষ। এতে করে চোরদের অভয়ারণ্যে হয়েছে উঠেছে কোটচাঁদপুরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
এর আগে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চোর ঠেকাতে পুলিশের টহল চলতো দিনে রাতে। সে সময় চোরেদের উপদ্রুপ কিছুটা কমে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আমানউল্লাহ আল মামুনের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয় কোটচাঁদপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার সাব ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন চুরির বিষয় কোন লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি।
সবুজদেশ/এসইউ