সবুজদেশ ডেক্সঃ যথাসময়ে স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (স্লিপ) টাকার হিসাব না দেওয়ায় ঝিনাইদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মোঃ আক্তারুজ্জামান স্বাক্ষরিত একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।

কোটচাঁদপুর উপজেলার মোট ৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে স্লিপ ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ৬৬ টি। এদের মধ্যে ২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এই নোটিশ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান (চঃ দঃ)।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার স্লিপ প্রকল্পের আওতায় ৯০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে কোটচাঁদপুর উপজেলায় ৭৪টি বিদ্যালয় রয়েছে, যার মধ্যে স্লিপ ভুক্ত প্রতিষ্ঠান আছে ৬৬ টি । গত জুনের আগে প্রতিটি বিদ্যালয়ে দেওয়া হয় ৪০ হাজার টাকা।

বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যৌথ একাউন্টে এই টাকা দেওয়া হলেও অধিকাংশ স্কুলে ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে টাকা আত্মসাত করার গুরতর অভিযোগ ওঠে।
স্লিপ প্রকল্পের বরাদ্দ ও খরচ করানো সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অগ্রিম হিসাবে উত্তোলিত স্লিপ গ্রান্ডের অর্থ কোনরুপ বিলম্ব না করে দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করতে হবে এবং চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে স্লিপ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু সরেজমিনে এই কাজের অনিয়ম পাওয়ায় এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে বলে জানা যায়।

কোটচাঁদপুর উপজেলার যেসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে, কোটচাঁদপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সলেমানপুর সোনালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁদপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জগদীশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাঁঠালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বলাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম বলাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নওদা গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গিয়ারপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধোপাবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভোমরাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছয়খাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আব্দুর রাজ্জাক খাঁন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালিনা তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সারুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোয়াদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মল্লিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলোকদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বকশীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালালপুর পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বলুহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এড়ান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাফদারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ও ফুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান (চঃ দঃ) বলেন, চলতি বছরের জুনের মধ্যে স্লিপ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সরকারি ছুটি থাকায় কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩০-৪০ ভাগ কাজ বাকি রয়েছে। কাজের অগ্রগতি নিয়ে শোকজ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, আগে জবাবদিহীতা ছিলনা। কিন্তু এখন হিসাব নেওয়া হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here