নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কোরবানির ঈদের বাজার ধরতে শেষ মুহূর্তে পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পশুপালনকারীরা। গো-খাদ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে এবার গরু লালন-পালনে খরচও হচ্ছে বেশি। তাই সঠিক দাম না পেলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।
সালেহা খাতুন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের হারুণ মন্ডলের স্ত্রী। ২০০৮ সালে একটি গাভী ক্রয় করেন। গত ২ বছর আগে জন্ম দেয় এই গরুটির। শখ করে নাম দেন রাজাবাবু। দিনের বেশির ভাগ সময়ই কাটে রাজাবাবুর পিছনে। দেশীয় খাবার যেমন-খড়, ভুসি, খৈল ও ঘাস খাওয়ায়ে বড় করে তোলা ব্রাহমা জাতের এই রাজাবাবুর দাম হাঁকছেন তিনি ৫ লাখ টাকা। তার গরুর ওজন ১২ থেকে ১২ মণ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ওই গ্রামে রাজাবাবুর মতো এমন বড় গরু আর নেই। প্রতিদিনই গরুটিকে দেখতে আশেপাশের এলাকা থেকে আসছে মানুষ।
সালেহা খাতুন জানান, তিনি গরুটিকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ায়ে বড় করেছেন। কোন প্রকার মোটাতাজাকরণের ট্যাবলেট বা ইনজেকশন গরুটিকে প্রদান করেননি। এই কোরবানি ঈদে তিনি গরুটিকে বিক্রি করতে চান।
ভিডিও..