কোরবানির হাটে জাল নোট শনাক্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা
পবিত্র ঈদুল আজহা আর কয়েক দিন পরই। পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে অনেকেই ছুটছেন হাটে। কিন্তু পশুর হাটে কেনাবেচার টাকা নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে। কিছু অসাধু ব্যক্তি হাটকে কেন্দ্র করে বাজার জাল নোট ছাড়ে। সেসব জাল নোট শনাক্তের জন্য রয়েছে কিছু নির্দেশনা।
রাজধানীসহ দেশের সব উপজেলা সদরের সব কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট ঠেকাতে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব তথ্য জানায়। একই সঙ্গে এ প্রজ্ঞাপন সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনাগুলো হচ্ছে—
*জাল নোট শনাক্তকারী মেশিনের সহায়তায় অভিজ্ঞ ক্যাশ কর্মকর্তা দিয়ে কোরবানির হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পশু ব্যবসায়ীদের বিনা খরচে নোট যাচাইসংক্রান্ত সেবা দেওয়া হবে।
*গবাদিপশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপনের জন্য সিটি করপোরেশন, জেলা মিউনিসিপ্যালটি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
*সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র্যাব ও আনসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।
*বুথে নোট যাচাইকালে কোনো জাল নোট ধরা পড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিপত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে
*ব্যাংকের নাম ও তার সঙ্গে ‘জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ’ উল্লেখপূর্বক ব্যানার ও নোটিশ প্রদর্শন করতে হবে
*১৬ আগস্টের মধ্যে হাটের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম, পদবি, মোবাইল নম্বরসহ প্রত্যেক ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী একজন উপযুক্ত কর্মকর্তার নাম, পদবি ও মোবাইল নম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা দিতে হবে। ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা হাটে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের কার্যাদি তদারকি করবেন
*ঢাকার বাইরে যেসব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে স্থানীয় বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে একই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয় বা প্রধান শাখাগুলোকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে
*বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই, এমন জেলার পৌরসভা ও থানার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের এ-সংক্রান্ত দায়িত্ব বণ্টনের জন্য সোনালী ব্যাংক লিমিটেডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে
*আসল ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসংবলিত ভিডিও চিত্র ব্যাংকের শাখায় ঈদের আগে ৩ কর্মদিবসে গ্রাহকদের জন্য স্থাপিত টিভি মনিটরগুলোতে পুরো ব্যাংকিং সময়ে প্রদর্শন করতে হবে
*দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য আপনার ব্যাংকের প্রযোজ্য বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান
*পবিত্র ঈদুল আজহা সমাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ওপরে বর্ণিত নির্দেশনার সূত্রে ব্যাংক কর্তৃক পরিপালিত বিষয়টির প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাতে হবে। তথ্যসূত্র: ডিএমপি নিউজ