ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোয়ারেন্টাইন না করা প্রবাসীদের নিয়ে আতংকে মানুষ

Reporter Name

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাট জেলায় করোনা আতংকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশে^র ৩৮ দেশ থেকে বাড়ি ফেরা ৪ হাজার ২ শত প্রবাসীর মধ্যে ২ হাজার ৯৭২ জন প্রবাসী কোয়ারেন্টাইন না করায় জেলাজুড়ে সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আতংকিত সাধারন মানুষ মাস্ক পরেই বাইরে বের হচ্ছেন। বাগেরহাট শহরের দুপুর পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকলেও লোকসমাগম ছিলো কম।

বাগেরহাটের উন্নয়নকর্মী শেখ আসাদ বলেন, যারা বিদেশ থেকে এসেছে তাদের সবাইকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন করানো উচিৎ ছিল। সচেতনার অভাবে অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে জনবহুল স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরা দেশের জন্য ক্ষতিকর।

রুপসা-বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল বাকি তালুকদার বলেন, যারা বিদেশ থেকে এসেছে তাদের সবারই উচিৎ ছিল হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা। কিন্তু তারা বাইরে ঘুরে ও আত্মিয়ের বাড়িতে ঘুরে বেড়িয়েছে। এটার জন্য সবচেয়ে আগে ঝুঁকিতে পড়বে তার পরিবার। পরে আত্মিয় ও এলাকাবাসি।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ইমিগ্রেশন পুলিশের দেয়া তালিকা অনুযায়ী বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় বিশে^র ৩৮ দেশ থেকে বাড়ি ফেরা ৪ হাজার ২ শত প্রবাসীর মধ্যে ১ হাজার ২২৮ প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিন করেছে। এরমধ্যে ৫২৫ জনের হোম কোয়ারেন্টিনের নির্ধারিত সময় পূর্ণ হওয়ার পর তারা সুস্থ্য রয়েছে। তবে হোম কোয়ারেন্টাইন না করা ২ হাজার ৯৭২ জন প্রবাসীকে খুঁজতে বাড়ীতে বাড়ীতে খুজে ফিরছে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা।

বাগেরহাট জেলায় ১৩৬ ডাক্তার, ২৪৭ নার্সসহ ১ হাজার ১৮৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৫০টি পিপিই পেয়েছি। এসব পিপিইর মধ্যে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ৫০টি ও ৮টি উপজেলা হাসপাতালের প্রত্যেকটিতে ৫টি করে পিপিই দেয়া হয়েছে। জেলা সিভিলসার্জন অফিসের কর্মরত চিকিৎসকদেরও পিপিই দেয়া হয়েছে। এসব বিদেশফেরত যারা হোম কোয়ারেন্টাইন করেনি তাদের বাড়ীতে টানানো হচ্ছে লাল পতাকা।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৪২:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০
৩২২ Time View

কোয়ারেন্টাইন না করা প্রবাসীদের নিয়ে আতংকে মানুষ

আপডেট সময় : ০৮:৪২:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

বাগেরহাট জেলায় করোনা আতংকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশে^র ৩৮ দেশ থেকে বাড়ি ফেরা ৪ হাজার ২ শত প্রবাসীর মধ্যে ২ হাজার ৯৭২ জন প্রবাসী কোয়ারেন্টাইন না করায় জেলাজুড়ে সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আতংকিত সাধারন মানুষ মাস্ক পরেই বাইরে বের হচ্ছেন। বাগেরহাট শহরের দুপুর পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকলেও লোকসমাগম ছিলো কম।

বাগেরহাটের উন্নয়নকর্মী শেখ আসাদ বলেন, যারা বিদেশ থেকে এসেছে তাদের সবাইকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন করানো উচিৎ ছিল। সচেতনার অভাবে অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে জনবহুল স্থানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এরা দেশের জন্য ক্ষতিকর।

রুপসা-বাগেরহাট আন্তঃজেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল বাকি তালুকদার বলেন, যারা বিদেশ থেকে এসেছে তাদের সবারই উচিৎ ছিল হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা। কিন্তু তারা বাইরে ঘুরে ও আত্মিয়ের বাড়িতে ঘুরে বেড়িয়েছে। এটার জন্য সবচেয়ে আগে ঝুঁকিতে পড়বে তার পরিবার। পরে আত্মিয় ও এলাকাবাসি।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ইমিগ্রেশন পুলিশের দেয়া তালিকা অনুযায়ী বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলায় বিশে^র ৩৮ দেশ থেকে বাড়ি ফেরা ৪ হাজার ২ শত প্রবাসীর মধ্যে ১ হাজার ২২৮ প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিন করেছে। এরমধ্যে ৫২৫ জনের হোম কোয়ারেন্টিনের নির্ধারিত সময় পূর্ণ হওয়ার পর তারা সুস্থ্য রয়েছে। তবে হোম কোয়ারেন্টাইন না করা ২ হাজার ৯৭২ জন প্রবাসীকে খুঁজতে বাড়ীতে বাড়ীতে খুজে ফিরছে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা।

বাগেরহাট জেলায় ১৩৬ ডাক্তার, ২৪৭ নার্সসহ ১ হাজার ১৮৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৫০টি পিপিই পেয়েছি। এসব পিপিইর মধ্যে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ৫০টি ও ৮টি উপজেলা হাসপাতালের প্রত্যেকটিতে ৫টি করে পিপিই দেয়া হয়েছে। জেলা সিভিলসার্জন অফিসের কর্মরত চিকিৎসকদেরও পিপিই দেয়া হয়েছে। এসব বিদেশফেরত যারা হোম কোয়ারেন্টাইন করেনি তাদের বাড়ীতে টানানো হচ্ছে লাল পতাকা।