‘ক্যাসিনো খালেদ’ যুবলীগ থেকে বহিষ্কার
ঢাকাঃ
অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় শৃংখলাভঙ্গের অভিযোগে শুক্রবার তাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।
খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়াংমেনস ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকাসহ নানা অভিযোগ উঠে। পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার তাকে অস্ত্র ও নারীসহ গ্রেফতার করে র্যাব। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় দেশব্যাপী। যুবলীগের ইমেজ মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পরিপ্রেক্ষিতে খালেদকে আজ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় যুবলীগ।অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনায় অভিযুক্ত খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে যুবলীগ।
এর আগে, গত বুধবার রাতে গুলশানের বাসা থেকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটক করে র্যাব। এসময় তার বাড়ি থেকে তিনটি অস্ত্র, গুলি, ৫৮৫ পিস ইয়াবা, ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫০ টাকা এবং ৬-৭ লাখ টাকা সমমানের বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়। অস্ত্রগুলোর একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দু’টি লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।
খালেদকে আটকের সময় একযোগে তার নিয়ন্ত্রণাধীন ফকিরাপুলের ইয়াং মেন্স ক্লাবের ক্যাসিনোতে অভিযান চালান র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ক্লাব থেকে ২৪ লাখ ২৯ হাজার নগদ টাকা ও মাদকসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে গুলশান ও মতিঝিল থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে পৃথক তিনটি মামলা ( নং-২৩, ২৪ ও ২৫) এবং মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি মাদকের মামলা (নং-৩১) দায়ের করা হয়।
এদিন রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার অস্ত্র মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে মাদক মামলায় তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহেনুর ইসলাম।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টা দিকে তাকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় সাতদিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পৃথক আদালত শুনানি শেষে দুই মামলায় এই যুবলীগ নেতার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।