ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষমতায় গেলে আন্দোলন সহযোগীদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে বিএনপি

সবুজদেশ ডেস্ক:

ছবি: সংগৃহীত

 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তারা জাতীয় সরকারের মধ্যে সমস্ত দলগুলোকে নিয়ে আসবেন, যারা বিএনপি সঙ্গে আন্দোলন করেছে তাদের নিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচিত হয়ে আসতে পারলে আমরা একা দেশ চালাব না… তাহলে সমস্যা কোথায়? সন্দেহ কোথায়? সন্দেহ কিন্তু আপনাদের ওপর (অন্তর্বর্তী সরকার) মানুষের আসতে শুরু করেছে।

‘সরকারের লোক যারা আছেন, তারা অনেক সময় অনেক রকম কথা বলছেন। কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। ফোকাস এক জায়গায় করুন’, বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ফোকাসটা হচ্ছে ইলেকশন কমিশনকে ঠিক করে, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থাকে ঠিক করে নির্বাচনের দিকে যান। বাকি কাজগুলো যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা করবেন।

‘জাতিকে রক্ষা করার একমাত্র উপায়… শহীদ জিয়াকে অনুসরণ করে, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে, অতিদ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন’, বলেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘যতবারই বলি, আপনার শুধু বলেন আমরা শুধু নির্বাচন নির্বাচন করি। নির্বাচন বলি জাতির স্বার্থে। বিএনপির স্বার্থে তো করছি না। সংস্কার প্রস্তাব আমরা দিয়েছি, সেটা দেখেন। ৬২টি দল একসঙ্গে এই প্রস্তাবনা দিয়েছি।

ফখরুল আবার বলেন, ‘একটি বিষয় আমাদের সবার স্বীকার করতেই হবে, এদের কারও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই।

‘এর আলাদা যোগ-বিয়োগ আছে, এর আলাদা ইকুয়েশন আছে। এটা বুঝতে পারবে রাজনীতিবিদরা। এজন্য আমরা রাজনীতিবিদরা বলছি নির্বাচন দ্রুত করো। কারণ কী? বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। আমরা বলছি নির্বাচন দ্রুত না হলে এ সমস্যাগুলো বাড়বে। অন্যান্য সমস্যা বাড়বে’, বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা তৈরি করার জন্য কাজ করছে। ফ্যাক্টরি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা আমাদের দেশের বড় সম্পদ। এরা কিছুই করতে পারছে না। কেন করতে পারছে না? বিকজ দেয়ার ইজ নো পলিটিক্স, পলিটিক্যাল শক্তি নেই।’

তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের গতকালের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইন্টেলিজেন্ট ছিল না সরকারের? অন্তবর্তীকালীন সরকার জানত না এরকম হতে পারে? কেন আগে থেকে সে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না?

‘এই সরকার এখনো স্ট্যাবল হতে পারেনি। এজন্য আমরা বারবার বলছি এটা আপনাদের কাজ না। আপনারা তাড়াতাড়ি একটা নির্বাচন দেন, যাদের কাজ তারা করুক’, যোগ করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে দিয়েছি। এখানে দেখেন কোন প্রস্তাব আপনারা নেবেন, কোনটা নেবেন না। আসল জিনিসটাতে আসেন, নির্বাচন কমিশনকে ঠিক করে আপনারা দ্রুত নির্বাচন দিন।

‘আপনারা রোডম্যাপ দেন। কবে কী করবেন আপনারা জানান। এটা আমরা জানাতে পারব না। নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলে মানুষের মধ্যে আস্থা আসবে’, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই, আমরা চাই আপনারা সফল হোন। আমরা চাই না হাসিনা আবার ফিরে আসুক।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
৭ Time View

ক্ষমতায় গেলে আন্দোলন সহযোগীদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবে বিএনপি

আপডেট সময় : ০৬:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তারা জাতীয় সরকারের মধ্যে সমস্ত দলগুলোকে নিয়ে আসবেন, যারা বিএনপি সঙ্গে আন্দোলন করেছে তাদের নিয়ে দেশ পরিচালনা করবেন।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচিত হয়ে আসতে পারলে আমরা একা দেশ চালাব না… তাহলে সমস্যা কোথায়? সন্দেহ কোথায়? সন্দেহ কিন্তু আপনাদের ওপর (অন্তর্বর্তী সরকার) মানুষের আসতে শুরু করেছে।

‘সরকারের লোক যারা আছেন, তারা অনেক সময় অনেক রকম কথা বলছেন। কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন। ফোকাস এক জায়গায় করুন’, বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ফোকাসটা হচ্ছে ইলেকশন কমিশনকে ঠিক করে, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থাকে ঠিক করে নির্বাচনের দিকে যান। বাকি কাজগুলো যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা করবেন।

‘জাতিকে রক্ষা করার একমাত্র উপায়… শহীদ জিয়াকে অনুসরণ করে, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে, অতিদ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন’, বলেন বিএনপির এই নেতা।

তিনি বলেন, ‘যতবারই বলি, আপনার শুধু বলেন আমরা শুধু নির্বাচন নির্বাচন করি। নির্বাচন বলি জাতির স্বার্থে। বিএনপির স্বার্থে তো করছি না। সংস্কার প্রস্তাব আমরা দিয়েছি, সেটা দেখেন। ৬২টি দল একসঙ্গে এই প্রস্তাবনা দিয়েছি।

ফখরুল আবার বলেন, ‘একটি বিষয় আমাদের সবার স্বীকার করতেই হবে, এদের কারও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই।

‘এর আলাদা যোগ-বিয়োগ আছে, এর আলাদা ইকুয়েশন আছে। এটা বুঝতে পারবে রাজনীতিবিদরা। এজন্য আমরা রাজনীতিবিদরা বলছি নির্বাচন দ্রুত করো। কারণ কী? বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। আমরা বলছি নির্বাচন দ্রুত না হলে এ সমস্যাগুলো বাড়বে। অন্যান্য সমস্যা বাড়বে’, বলেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা তৈরি করার জন্য কাজ করছে। ফ্যাক্টরি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা আমাদের দেশের বড় সম্পদ। এরা কিছুই করতে পারছে না। কেন করতে পারছে না? বিকজ দেয়ার ইজ নো পলিটিক্স, পলিটিক্যাল শক্তি নেই।’

তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের গতকালের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইন্টেলিজেন্ট ছিল না সরকারের? অন্তবর্তীকালীন সরকার জানত না এরকম হতে পারে? কেন আগে থেকে সে ব্যবস্থা নেওয়া হলো না?

‘এই সরকার এখনো স্ট্যাবল হতে পারেনি। এজন্য আমরা বারবার বলছি এটা আপনাদের কাজ না। আপনারা তাড়াতাড়ি একটা নির্বাচন দেন, যাদের কাজ তারা করুক’, যোগ করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে দিয়েছি। এখানে দেখেন কোন প্রস্তাব আপনারা নেবেন, কোনটা নেবেন না। আসল জিনিসটাতে আসেন, নির্বাচন কমিশনকে ঠিক করে আপনারা দ্রুত নির্বাচন দিন।

‘আপনারা রোডম্যাপ দেন। কবে কী করবেন আপনারা জানান। এটা আমরা জানাতে পারব না। নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলে মানুষের মধ্যে আস্থা আসবে’, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই, আমরা চাই আপনারা সফল হোন। আমরা চাই না হাসিনা আবার ফিরে আসুক।

সবুজদেশ/এসইউ