ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষেতে সেচ দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ১২

 

ঝিনাইদহে ফসলের ক্ষেতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার পানামী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে আবু জাফর, আরমান মণ্ডল, নাজির আহমেদ, বাবুল মণ্ডল, জিল্লুর, নার্গিস, নাজমা, রানা মণ্ডল ও সাহিরা বেগমকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পানামী গ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর ও স্থানীয় বিএনপি নেতা জিন্না মণ্ডল।

গতকাল সোমবার দুপুরের পর আবু জাফরের সমর্থক ইসরাইল মোল্লা তার ঘাসের জমিতে পানি সেচ দিচ্ছিলেন। সেই পানি জিন্না মণ্ডলের সমর্থক বাহারুল মণ্ডলের রসুনের ক্ষেতে যায়। এ নিয়ে ইসরাইল ও বাহারুল মণ্ডলের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে বিএনপি নেতা আবু জাফর ও জিন্না মণ্ডলের সমর্থকরা পানামী গ্রামে ধারালো অস্ত্র, লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজির আহমেদ বলেন, ‘সোমবার বিকেলে এলাকার ছেলেরা ইসরাইল মোল্লা ও বাহারুল মণ্ডলের বিবাদ মীমাংসা করে দেন। কিন্তু রাতে হঠাৎ আবার মারামারি শুরু হয়। আমাদের অনেককেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।

সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ

Tag :
About Author Information

ক্ষেতে সেচ দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ১২

Update Time : ০১:৫৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

 

ঝিনাইদহে ফসলের ক্ষেতে পানি সেচ দেওয়া নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার পানামী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে আবু জাফর, আরমান মণ্ডল, নাজির আহমেদ, বাবুল মণ্ডল, জিল্লুর, নার্গিস, নাজমা, রানা মণ্ডল ও সাহিরা বেগমকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, পানামী গ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর ও স্থানীয় বিএনপি নেতা জিন্না মণ্ডল।

গতকাল সোমবার দুপুরের পর আবু জাফরের সমর্থক ইসরাইল মোল্লা তার ঘাসের জমিতে পানি সেচ দিচ্ছিলেন। সেই পানি জিন্না মণ্ডলের সমর্থক বাহারুল মণ্ডলের রসুনের ক্ষেতে যায়। এ নিয়ে ইসরাইল ও বাহারুল মণ্ডলের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে বিএনপি নেতা আবু জাফর ও জিন্না মণ্ডলের সমর্থকরা পানামী গ্রামে ধারালো অস্ত্র, লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজির আহমেদ বলেন, ‘সোমবার বিকেলে এলাকার ছেলেরা ইসরাইল মোল্লা ও বাহারুল মণ্ডলের বিবাদ মীমাংসা করে দেন। কিন্তু রাতে হঠাৎ আবার মারামারি শুরু হয়। আমাদের অনেককেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।

সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। যদি কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সবুজদেশ/এসইউ