ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কয়রায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব

Reporter Name

খুলনা প্রতিনিধিঃ

খুলনার উপকূলীয় জনপদ কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীসহ ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে উপকূলীয় জনপদের লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙ্গনের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। সর্বস্বান্ত হচ্ছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ।

আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের সদ্য ভাঙ্গনকবলিত ২ নম্বর কয়রা স্লুইজ গেটের পাশে পাউবোর বেড়িবাঁধ সংস্কারে কপোতাক্ষ নদীর স্পর্শকাতর স্থানে কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ও মেম্বর আব্দুর রব খোকনের নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজ চলছিলো। বিষয়টি এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে জানালেও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।

অবশেষে গ্রামবাসী স্থানীয় এক সংবাদ কর্মীর মাধ্যমে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানোর সাথে সাথেই তাৎক্ষণিক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নূরই আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে এসে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন, এবং ওই জনপ্রতিনিধিকে তিরস্কার করেন, পাশেই ভাঙ্গনকবলিত হরিণখোলা এলাকায় হেরিংবন্ড রাস্তা নির্মাণে সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মেম্বর আঞ্জমান আরা বেগম অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেখানে গিয়েও বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন। এভাবে প্রতিদিন কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদী থেকে অর্ধশতাধিক ড্রেজার এর মাধ্যমে অবৈধ বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। এতে করে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে শত শত একর ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সর্বস্বান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে পাল্টে গেছে কয়রা উপজেলার মানচিত্র ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে কয়রা উপজেলা নির্বাহি অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
৩১৬ Time View

কয়রায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব

আপডেট সময় : ০৯:৩০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

খুলনা প্রতিনিধিঃ

খুলনার উপকূলীয় জনপদ কয়রা উপজেলার কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীসহ ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে করে হুমকির মুখে পড়েছে উপকূলীয় জনপদের লক্ষাধিক মানুষ। বিশেষ করে কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙ্গনের প্রবণতা বেড়েই চলেছে। সর্বস্বান্ত হচ্ছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ।

আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের সদ্য ভাঙ্গনকবলিত ২ নম্বর কয়রা স্লুইজ গেটের পাশে পাউবোর বেড়িবাঁধ সংস্কারে কপোতাক্ষ নদীর স্পর্শকাতর স্থানে কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ও মেম্বর আব্দুর রব খোকনের নেতৃত্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজ চলছিলো। বিষয়টি এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে জানালেও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।

অবশেষে গ্রামবাসী স্থানীয় এক সংবাদ কর্মীর মাধ্যমে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানোর সাথে সাথেই তাৎক্ষণিক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নূরই আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে এসে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন, এবং ওই জনপ্রতিনিধিকে তিরস্কার করেন, পাশেই ভাঙ্গনকবলিত হরিণখোলা এলাকায় হেরিংবন্ড রাস্তা নির্মাণে সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মেম্বর আঞ্জমান আরা বেগম অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেখানে গিয়েও বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন। এভাবে প্রতিদিন কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদী থেকে অর্ধশতাধিক ড্রেজার এর মাধ্যমে অবৈধ বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। এতে করে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে শত শত একর ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সর্বস্বান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে পাল্টে গেছে কয়রা উপজেলার মানচিত্র ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে কয়রা উপজেলা নির্বাহি অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।