ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার বিকল্প জোবাইদা?

Reporter Name

বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে বগুড়া-৬ (সদর) জিয়া পরিবারের জন্য সংরক্ষিত আসন হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা চারবার এখানে সাংসদ হয়েছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রার্থিতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপির নেতা-কর্মীরা চাইছেন, তারেকের স্ত্রী জোবাইদা রহমান কিংবা জিয়া পরিবারের অন্য কেউ এখানে প্রার্থী হোন।
এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন অর্ধডজনের বেশি নেতা। তবে তাঁদের সামনে বড় বাধা জাতীয় পার্টি (জাপা)। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটি জাপাকে ছেড়ে দিয়েছিল।

বিএনপিতে প্রার্থী কে?
১৯৭৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সব কটি জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনে জিতেছে বিএনপি। এর মধ্যে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চারবার সাংসদ হয়েছেন খালেদা জিয়া। পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে অন্যরা জয়ী হন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া মোট ভোটের ৭১ শতাংশ পেয়ে জয়ী হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে পেয়েছিলেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৩৫০ ভোট, যা মোট ভোটের ৭৮ শতাংশ।
বিএনপির ১২ জন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়া বা তাঁর ছেলে তারেক রহমানই আগামী নির্বাচনে এই আসনে প্রার্থী হবেন বলে তাঁদের প্রত্যাশা। আইনগত কারণে শেষ পর্যন্ত তাঁরা প্রার্থী হতে না পারলে তাঁরাই ঠিক করবেন বিকল্প প্রার্থী কে হবেন। তবে নেতা-কর্মীরা জিয়া পরিবারের বিকল্প হিসেবে অন্য কাউকে ভাবছেন না। খালেদা বা তারেকের বিকল্প প্রয়োজন হলে এখানে তারেকের স্ত্রী জোবাইদা রহমান প্রার্থী হবেন।
বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলী আজগর তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এখনো আশাবাদী, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্বাচনের বাইরে রাখার সরকারি কূটকৌশল যদি সফল হয়ই, তবে তাঁরা তারেকপত্নী জোবাইদা রহমানকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।
জিয়া পরিবারের কেউ প্রার্থী না হলে এ আসনে প্রার্থীসংকটের আশঙ্কা করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম কিংবা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন এখানে মনোনয়ন চাইবেন কি না, তা নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া কোনো নির্বাচনের কথা ভাবছি না আমরা। জিয়া পরিবারের কেউ প্রার্থী হবেন, এটাই শেষ কথা।’ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ম্যাডামই প্রার্থী হবেন বলে আশাবাদী আমরা। তা না হলে জিয়া পরিবারের হয়ে কে লড়বেন, সেই সিদ্ধান্তও নেবেন ম্যাডাম ও তারেক রহমান।’

আ. লীগে অর্ধডজনের বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী
২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাগেবুল আহসান। তবে শেষ পর্যন্ত আসনটি মহাজোটের শরিক জাপাকে ছেড়ে দেওয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন রাগেবুল আহসান।
রাগেবুল আহসান বলেন, ‘গতবার মনোনয়ন পেয়েও দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এরপরও নৌকাকে বিজয়ী করতে মাঠে পড়ে রয়েছি। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেলে আসনটা জননেত্রীকে উপহার দিতে পারব।’
মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনও। মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘ভোটের রাজনীতিতে কৌশলগত কারণে বগুড়া-৪ আসনে আগে মনোনয়ন চাইব। পরে বগুড়া-৬ আসনে। কোন আসনে মনোনয়ন দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় প্রধান।’

এই দুজনের বাইরে আওয়ামী লীগে আরও ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান, জেলা যুবলীগের সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি বগুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম। মেয়র পদে একাধিকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে মাঠে কাজ করছি।’
সুলতান মাহমুদ খান বলেন, ‘বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছি, তবে মাঠ ছাড়িনি। কেন্দ্র চায়, তরুণ নেতৃত্ব বিকশিত হোক। এ কারণে মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী।’ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় দেড় যুগ ধরে মাঠে থেকে দলকে সুসংগঠিত করেছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে বিজয় সুনিশ্চিত।’

জাপা না আ. লীগ?
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হন জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম। তিনি আগামী নির্বাচনেও মনোনয়নপ্রত্যাশী। এই সাংসদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিস্তর অভিযোগ। তাঁদের মতে, পাঁচ বছরে এই এলাকায় দৃশ্যত কোনো উন্নয়ন হয়নি। জেলায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক নির্মূলেও তিনি ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।
নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নয়, জাপার সাংসদ ছিলাম। ভবিষ্যতেও দলের মনোনয়ন চাইব।’ অভিযোগের বিষয়ে জাপার এই সাংসদ বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আর বগুড়াকে মাদক, সন্ত্রাস ও যানজটমুক্ত করা, করতোয়া দখলমুক্ত করা সাংসদের কাজ নয়। এসব কাজ প্রশাসনের।’

অন্যান্য দল
বগুড়া-৬ আসনে এখন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী বা ধর্মভিত্তিক অন্য কোনো দলের তৎপরতা চোখে পড়ছে না। তবে বামপন্থী দুটি দলের কয়েকজন নেতা এখানে আগামী নির্বাচন ঘিরে মাঠে রয়েছেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) বগুড়া জেলা কমিটির সম্পাদক আমিনুল ফরিদ বলেন, তিনি আগামী নির্বাচনে এখানে সিপিবির হয়ে লড়বেন।
এ ছাড়া মহাজোটের শরিক জাসদের (ইনু) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ বি এম জাকিরুল হক ও ইমদাদুল হক এবং জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল লতিফ পশারি এ আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০২:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮
৪৯৯ Time View

খালেদা জিয়ার বিকল্প জোবাইদা?

আপডেট সময় : ০২:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে বগুড়া-৬ (সদর) জিয়া পরিবারের জন্য সংরক্ষিত আসন হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা চারবার এখানে সাংসদ হয়েছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রার্থিতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপির নেতা-কর্মীরা চাইছেন, তারেকের স্ত্রী জোবাইদা রহমান কিংবা জিয়া পরিবারের অন্য কেউ এখানে প্রার্থী হোন।
এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন অর্ধডজনের বেশি নেতা। তবে তাঁদের সামনে বড় বাধা জাতীয় পার্টি (জাপা)। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটি জাপাকে ছেড়ে দিয়েছিল।

বিএনপিতে প্রার্থী কে?
১৯৭৯ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সব কটি জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনে জিতেছে বিএনপি। এর মধ্যে ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চারবার সাংসদ হয়েছেন খালেদা জিয়া। পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে অন্যরা জয়ী হন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া মোট ভোটের ৭১ শতাংশ পেয়ে জয়ী হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে পেয়েছিলেন ২ লাখ ২৭ হাজার ৩৫০ ভোট, যা মোট ভোটের ৭৮ শতাংশ।
বিএনপির ১২ জন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়া বা তাঁর ছেলে তারেক রহমানই আগামী নির্বাচনে এই আসনে প্রার্থী হবেন বলে তাঁদের প্রত্যাশা। আইনগত কারণে শেষ পর্যন্ত তাঁরা প্রার্থী হতে না পারলে তাঁরাই ঠিক করবেন বিকল্প প্রার্থী কে হবেন। তবে নেতা-কর্মীরা জিয়া পরিবারের বিকল্প হিসেবে অন্য কাউকে ভাবছেন না। খালেদা বা তারেকের বিকল্প প্রয়োজন হলে এখানে তারেকের স্ত্রী জোবাইদা রহমান প্রার্থী হবেন।
বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলী আজগর তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা এখনো আশাবাদী, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্বাচনের বাইরে রাখার সরকারি কূটকৌশল যদি সফল হয়ই, তবে তাঁরা তারেকপত্নী জোবাইদা রহমানকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।
জিয়া পরিবারের কেউ প্রার্থী না হলে এ আসনে প্রার্থীসংকটের আশঙ্কা করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম কিংবা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন এখানে মনোনয়ন চাইবেন কি না, তা নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া কোনো নির্বাচনের কথা ভাবছি না আমরা। জিয়া পরিবারের কেউ প্রার্থী হবেন, এটাই শেষ কথা।’ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে ম্যাডামই প্রার্থী হবেন বলে আশাবাদী আমরা। তা না হলে জিয়া পরিবারের হয়ে কে লড়বেন, সেই সিদ্ধান্তও নেবেন ম্যাডাম ও তারেক রহমান।’

আ. লীগে অর্ধডজনের বেশি মনোনয়নপ্রত্যাশী
২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাগেবুল আহসান। তবে শেষ পর্যন্ত আসনটি মহাজোটের শরিক জাপাকে ছেড়ে দেওয়ায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন রাগেবুল আহসান।
রাগেবুল আহসান বলেন, ‘গতবার মনোনয়ন পেয়েও দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এরপরও নৌকাকে বিজয়ী করতে মাঠে পড়ে রয়েছি। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেলে আসনটা জননেত্রীকে উপহার দিতে পারব।’
মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনও। মমতাজ উদ্দিন বলেন, ‘ভোটের রাজনীতিতে কৌশলগত কারণে বগুড়া-৪ আসনে আগে মনোনয়ন চাইব। পরে বগুড়া-৬ আসনে। কোন আসনে মনোনয়ন দেবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় প্রধান।’

এই দুজনের বাইরে আওয়ামী লীগে আরও ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান, জেলা যুবলীগের সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি বগুড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলাম। মেয়র পদে একাধিকবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে মাঠে কাজ করছি।’
সুলতান মাহমুদ খান বলেন, ‘বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছি, তবে মাঠ ছাড়িনি। কেন্দ্র চায়, তরুণ নেতৃত্ব বিকশিত হোক। এ কারণে মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী।’ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় দেড় যুগ ধরে মাঠে থেকে দলকে সুসংগঠিত করেছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে বিজয় সুনিশ্চিত।’

জাপা না আ. লীগ?
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হন জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম। তিনি আগামী নির্বাচনেও মনোনয়নপ্রত্যাশী। এই সাংসদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাদের বিস্তর অভিযোগ। তাঁদের মতে, পাঁচ বছরে এই এলাকায় দৃশ্যত কোনো উন্নয়ন হয়নি। জেলায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক নির্মূলেও তিনি ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।
নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নয়, জাপার সাংসদ ছিলাম। ভবিষ্যতেও দলের মনোনয়ন চাইব।’ অভিযোগের বিষয়ে জাপার এই সাংসদ বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আর বগুড়াকে মাদক, সন্ত্রাস ও যানজটমুক্ত করা, করতোয়া দখলমুক্ত করা সাংসদের কাজ নয়। এসব কাজ প্রশাসনের।’

অন্যান্য দল
বগুড়া-৬ আসনে এখন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী বা ধর্মভিত্তিক অন্য কোনো দলের তৎপরতা চোখে পড়ছে না। তবে বামপন্থী দুটি দলের কয়েকজন নেতা এখানে আগামী নির্বাচন ঘিরে মাঠে রয়েছেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) বগুড়া জেলা কমিটির সম্পাদক আমিনুল ফরিদ বলেন, তিনি আগামী নির্বাচনে এখানে সিপিবির হয়ে লড়বেন।
এ ছাড়া মহাজোটের শরিক জাসদের (ইনু) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ বি এম জাকিরুল হক ও ইমদাদুল হক এবং জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল লতিফ পশারি এ আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন।