বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে খুলনার এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়।
তার বড় ছেলে এস এস খালেদীন রশিদী সুকর্ণ জানান, তার বাবা বেশ কিছুদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
খুলনার রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়ার মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে তিনবার সংসদে দায়িত্ব পালন করা মোস্তফা রশিদী সুজা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তার মৃত্যুতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ সুজা কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুরে গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করিয়ে এসেছিলেন। দেশে ফেরার পর খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে তাকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে আর বাঁচাতে পারেননি।
মোস্তফা রশিদী সুজা খুলনা-৪ আসন থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন ১৯৯১ সালে।
১৯৯৬ সালে একই আসন থেকে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে তিনি জাতীয় সংসদে হুইপের দায়িত্ব পান।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের দশম জাতীয় নির্বাচনেও তিনি ওই আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদে যান।
খুলনার এই আওয়ামী লীগ নেতার রাজনৈতিক জীবনের শুরু বাম সংগঠন ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে। খুলনা পৌরসভার কাউন্সিলর হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
খুলনা আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন সুজা।
এছাড়া খুলনা নাট্য নিকেতনসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন আজীবন।
এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সংসদ সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনার মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এবং খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ।