ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় পুলিশ কনস্টেবলকে পেটালেন উপজেলা চেয়ারম্যান

Reporter Name

খুলনা প্রতিনিধিঃ

খামার থেকে হাঁস ও ডিম না দেয়ায় পুলিশ কনস্টেবলকে বাজারের মধ্যে বেধড়ক মারপিট করলেন খুলনার তেরখাদা উপজেলার চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম। তবে চেয়ারম্যান বলছেন, কৃষক বাঁচাতে হাঁস তুলে দেয়ার জন্য বারবার বলার পরও তারা হাঁস তুলে না দেয়ায় ধরে আনা হয়েছে কয়েকটি হাঁস।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার পাতলা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এই বিষয়ে প্রতিকারের জন্য পুলিশ কনস্টেবল শিকদার রহমত (কং নং-৭১৫৯) ঘটনার পর তেরখাদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগে শিকদার রহমত জানান, বিবাদী নাজু চৌধুরী, বায়জিদ লষ্কর ও মনু শিকদার গত শুক্রবার উপজেলার চরপাতলা গ্রামে আমার হাঁসের খামারে যায়। সেখান থেকে তারা জোর করে ২০০ টি ডিম ও ২০/৩০ টি হাঁস নেয়ার চেষ্টা করে। এই সময় ফোনে খবর পেয়ে সেখানে গেলে আসামীরা আমাকে জামার কলার ধরে পাতলা বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে ৩ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম এসেই মাধরোধ শুরু করে। মারধোর করার সময় নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেয়ার পরও বেদম মারপিট করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

এই ঘটনার পর শনিবার সকালে বাইজিদ লস্কর ফোন দিয়ে আমার হাঁসের খামারের কর্মচারী ফিরোজকে ফোন দিয়ে বলে, ২৫-৩০ টি ডিম নিয়ে পাতলা প্রাইমারী স্কুলে এসে দেখা কর, না হলে খামার বন্ধ করে দেয়া হবে।

এই ব্যাপারে তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা শিকাদর রহমতের লিখিত একটা অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, হাঁসের জন্য তেরখাদার বিল নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার আইনশৃঙ্খলার মিটিং এর বার বার হাঁস তুলে দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে, তবুও তারা হাঁস খামার বন্ধ করেনি। বাধ্য হয়ে চৌকিদার দিয়ে তাদের হাঁস তুলে আনা হয়। হাঁস না তুললে কৃষকরা বাঁচবে না। কৃষক বাঁচাতেই এই কাজ করা হয়েছে। তবে তিনি পুলিশ সদস্যকে মরাপিট করেননি বলে দাবি করেন।

Tag :

About Author Information
Update Time : ১০:০১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
৩৭৯ Time View

খুলনায় পুলিশ কনস্টেবলকে পেটালেন উপজেলা চেয়ারম্যান

Update Time : ১০:০১:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

খুলনা প্রতিনিধিঃ

খামার থেকে হাঁস ও ডিম না দেয়ায় পুলিশ কনস্টেবলকে বাজারের মধ্যে বেধড়ক মারপিট করলেন খুলনার তেরখাদা উপজেলার চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম। তবে চেয়ারম্যান বলছেন, কৃষক বাঁচাতে হাঁস তুলে দেয়ার জন্য বারবার বলার পরও তারা হাঁস তুলে না দেয়ায় ধরে আনা হয়েছে কয়েকটি হাঁস।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার পাতলা বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এই বিষয়ে প্রতিকারের জন্য পুলিশ কনস্টেবল শিকদার রহমত (কং নং-৭১৫৯) ঘটনার পর তেরখাদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগে শিকদার রহমত জানান, বিবাদী নাজু চৌধুরী, বায়জিদ লষ্কর ও মনু শিকদার গত শুক্রবার উপজেলার চরপাতলা গ্রামে আমার হাঁসের খামারে যায়। সেখান থেকে তারা জোর করে ২০০ টি ডিম ও ২০/৩০ টি হাঁস নেয়ার চেষ্টা করে। এই সময় ফোনে খবর পেয়ে সেখানে গেলে আসামীরা আমাকে জামার কলার ধরে পাতলা বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে ৩ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম এসেই মাধরোধ শুরু করে। মারধোর করার সময় নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেয়ার পরও বেদম মারপিট করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

এই ঘটনার পর শনিবার সকালে বাইজিদ লস্কর ফোন দিয়ে আমার হাঁসের খামারের কর্মচারী ফিরোজকে ফোন দিয়ে বলে, ২৫-৩০ টি ডিম নিয়ে পাতলা প্রাইমারী স্কুলে এসে দেখা কর, না হলে খামার বন্ধ করে দেয়া হবে।

এই ব্যাপারে তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা শিকাদর রহমতের লিখিত একটা অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, হাঁসের জন্য তেরখাদার বিল নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার আইনশৃঙ্খলার মিটিং এর বার বার হাঁস তুলে দেয়ার জন্য বলা হচ্ছে, তবুও তারা হাঁস খামার বন্ধ করেনি। বাধ্য হয়ে চৌকিদার দিয়ে তাদের হাঁস তুলে আনা হয়। হাঁস না তুললে কৃষকরা বাঁচবে না। কৃষক বাঁচাতেই এই কাজ করা হয়েছে। তবে তিনি পুলিশ সদস্যকে মরাপিট করেননি বলে দাবি করেন।