ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় স্কুলশিক্ষক তয়ন হত্যায় ৫ আসা‌মির মৃত্যুদণ্ড

Reporter Name

খুলনা প্রতিনিধিঃ

খুলনা নগরীর খালিশপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুলশিক্ষক কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন (৩২) হত্যা মামলায় পাঁচ আসা‌মি‌কে মৃত্যুদণ্ড দি‌য়ে‌ছেন আদালত। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা ক‌রে জ‌রিমানা করা হ‌য়ে‌ছে।

এছাড়া অপর দুই আসা‌মি‌কে খালাস দেয়া হ‌য়ে‌ছে।

রোববার খুলনার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম খান এ রায় ঘোষণা ক‌রে‌ছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কাজী মুরাদ, কাজী ফরহাদ হোসেন, মো. জাকির, কাজী রওনাকুল ইসলাম রনো ও সাইফুল। আসামি মো. জাকির পলাতক রয়েছে।

আসা‌মি কাজী সাব্বির হোসেন ফাহিম ও কাজী মাসুমকে খালাস প্রদান করা হয়।

গত ২৬ ফেব্রুয়া‌রি একই ট্রাইব্যুনা‌লে এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। লোমহর্ষক এ হত্যা মামলার পাঁচ আসামি জামিনে ছিলেন। ওইদিন আদালতে হাজির হলে তাদের সি-ডব্লিউ মূলে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

আদালতে রাস্ট্রপ‌ক্ষের কৌসুলী ছি‌লেন বি‌রেন্দ্র নাথ সাহা।

তিনি জানান, নিহত তয়ন খালিশপুর থানাধীন মুজগুন্নী মেইন রোডস্থ কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতার ছেলে। ৩২ বছর বয়সী এই স্কুলশিক্ষক‌কে ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট রাতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হত্যা করে একটি ডোবার মধ্যে লাশ চাপা দিয়ে রাখে।

পরে মোবাইল ট্রাকিং করে একজন আসামিকে গ্রেফতারের পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। চলতি বছরেই মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠায় (দ্রুত মামলা নং-০১/২০২০)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন (৩২) ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট বিকালে নিখোঁজ হলে তার বাবা কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতা ওই বছর ৮ সেপ্টেম্বর খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পর খালিশপুর থানা পুলিশ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহজনক আসামি সাইফুল ইসলাম গাজীকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল স্বীকার করেন যে, তিনিসহ তার সহযোগীরা ২৮ আগস্ট রাতে তয়নকে হত্যা করে মৃতদেহ বয়রা পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের ডোবা জমির উত্তর পাশের কচুরিপনা ও হোগলা বনের মধ্যে চাপা দিয়ে রেখেছেন।

সাইফুলের দেখানো মতে উক্ত ডোবা থেকে পিলার ও বাঁশের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় তয়নের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে আসামি সাইফুল ও অপর সহযোগী আসামি কাজী মুরাদ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

About Author Information
আপডেট সময় : ০২:০১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০
২৮৪ Time View

খুলনায় স্কুলশিক্ষক তয়ন হত্যায় ৫ আসা‌মির মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময় : ০২:০১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০

খুলনা প্রতিনিধিঃ

খুলনা নগরীর খালিশপুরে চাঞ্চল্যকর স্কুলশিক্ষক কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন (৩২) হত্যা মামলায় পাঁচ আসা‌মি‌কে মৃত্যুদণ্ড দি‌য়ে‌ছেন আদালত। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা ক‌রে জ‌রিমানা করা হ‌য়ে‌ছে।

এছাড়া অপর দুই আসা‌মি‌কে খালাস দেয়া হ‌য়ে‌ছে।

রোববার খুলনার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম খান এ রায় ঘোষণা ক‌রে‌ছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কাজী মুরাদ, কাজী ফরহাদ হোসেন, মো. জাকির, কাজী রওনাকুল ইসলাম রনো ও সাইফুল। আসামি মো. জাকির পলাতক রয়েছে।

আসা‌মি কাজী সাব্বির হোসেন ফাহিম ও কাজী মাসুমকে খালাস প্রদান করা হয়।

গত ২৬ ফেব্রুয়া‌রি একই ট্রাইব্যুনা‌লে এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। লোমহর্ষক এ হত্যা মামলার পাঁচ আসামি জামিনে ছিলেন। ওইদিন আদালতে হাজির হলে তাদের সি-ডব্লিউ মূলে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

আদালতে রাস্ট্রপ‌ক্ষের কৌসুলী ছি‌লেন বি‌রেন্দ্র নাথ সাহা।

তিনি জানান, নিহত তয়ন খালিশপুর থানাধীন মুজগুন্নী মেইন রোডস্থ কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতার ছেলে। ৩২ বছর বয়সী এই স্কুলশিক্ষক‌কে ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট রাতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হত্যা করে একটি ডোবার মধ্যে লাশ চাপা দিয়ে রাখে।

পরে মোবাইল ট্রাকিং করে একজন আসামিকে গ্রেফতারের পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। চলতি বছরেই মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠায় (দ্রুত মামলা নং-০১/২০২০)।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন (৩২) ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট বিকালে নিখোঁজ হলে তার বাবা কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতা ওই বছর ৮ সেপ্টেম্বর খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পর খালিশপুর থানা পুলিশ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহজনক আসামি সাইফুল ইসলাম গাজীকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল স্বীকার করেন যে, তিনিসহ তার সহযোগীরা ২৮ আগস্ট রাতে তয়নকে হত্যা করে মৃতদেহ বয়রা পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের ডোবা জমির উত্তর পাশের কচুরিপনা ও হোগলা বনের মধ্যে চাপা দিয়ে রেখেছেন।

সাইফুলের দেখানো মতে উক্ত ডোবা থেকে পিলার ও বাঁশের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় তয়নের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে আসামি সাইফুল ও অপর সহযোগী আসামি কাজী মুরাদ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।