করোনা: খুলনা জেলা ও মহানগরকে লকডাউন ঘোষণা
খুলনা প্রতিনিধিঃ
এবার করোনা সতর্কতায় খুলনাকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (০৮ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। দেশে ধীরে ধীরে করোনার রোগী বাড়ছে। তাই বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত খুলনা জেলা ও মহানগরকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক রাত পৌনে ১১টায় বলেন, খুলনা জেলায় কোনো যানবাহন ঢুকতে পারবে না এবং খুলনা জেলা থেকে কোনো যানবাহন বাইরে যেতে পারবে না। এর আগে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, সেটিই মূলত ‘লকডাউন’। এর আগে জনস্বার্থে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে খুলনা জেলা প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত খুলনা জেলায় সকল ধরণের যানবাহন প্রবেশ ও বাহির হওয়া বন্ধ ঘোষণা করা হয়। খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এ নির্দেশ দেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও সামাজিক দূরত্ব অধিকতর নিশ্চিত করার লক্ষ্যে খুলনা জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দোকান, হাট-বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও যানবাহন চলাচলের ওপর গণবিজ্ঞপ্তির নির্দেশনাবলি নিম্নরূপ: ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ওষুধের দোকান ব্যতীত অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ও বাজার প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রূপসা সান্ধ্যবাজার, কেসিসি সান্ধ্যবাজার ও সোনাডাঙ্গাস্থ কেসিসি পাইকারি কাঁচাবাজার পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময়সূচি বহাল থাকবে।
তবে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবা যেমন: খাদ্যদ্রব্য, কৃষি পণ্য, সেচ সরঞ্জাম ও জ্বালানি তেল বহনের গাড়ি এ নিদের্শনার বাইরে থাকবে। এছাড়া ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হিসাব রক্ষণ অফিস এবং জরুরি সেবা সংশ্লিষ্ট অফিস এ নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে। উপরোক্ত নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে সোমবার (০৬ এপ্রিল) প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে খুলনা মহানগরী থেকে মানুষ ও যানবাহন প্রস্থান এবং আগমন বন্ধ ঘোষণা করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)।
কেএমপির এডিসি (মিডিয়া) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, সরকার নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট ব্যক্তি ও যানবাহনের গমনাগমন ছাড়া অন্য সকল ব্যক্তি ও যানবাহনের খুলনা মহানগরী এলাকা থেকে প্রস্থান এবং নগরীতে আগমন বন্ধ থাকবে। তিনি জানান, তারা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য লোকজনকে অযথা ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য মাইকিং করছেন। জলকামান দিয়ে প্রতিদিন নগরীর রাস্তায় জীবানুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।