ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা জিআরপি থানায় মাদক মামলার আসামীকে ধর্ষণের সতত্যা মেলেনি

Reporter Name

খুলনাঃ

খুলনা জিআরপি থানায় মাদক মামলার আসামীকে মারপিট করার অভিযোগের সতত্যা মিললেও তাকে ধর্ষনের কোন সতত্যা পাওয়া যায়নি।

আজ সোমবার সকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রেসব্রিফিংএ একথা জানানো হয়েছে। তবে ভিকটিম সালমা বেগমের কোথায় আছেন তা বলছে না তার পরিবারের সদস্যরা।

প্রেসব্রিফিংএ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, গত ২/৮/২০১৯ তারিখ বেনাপোল-খুলনাগামী ট্রেনের মধ্য হতে আসামী সালমা বেগমকে ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করে খুলনা রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে রাতে থানা হাজতে রাখা হয়।

ঐ দিন রাতে খুলনা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ উছমান গনি পাঠানসহ ৫জন পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামী সালমা বেগমকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে মর্মে আসামী নিজে বাদী হয়ে সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান পাঠানসহ ৫জন পুলিশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইনের ১৫(১) ধারায় মামলা দায়ের করে।

বিজ্ঞ আদালতের আদেশে সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান পাঠানসহ ৫জন পুলিশের বিরুদ্ধে খুলনা রেলওয়ে থানার মামলা নং-০৩, তাং- ৯/৮/২০১৯ ধারা-২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইনের ১৫(১) রুজু হয় এবং ৩ সদস্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার নির্দেশ প্রদান করেন।

উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেল) ফিরোজ আহমেদ তদন্তকালে গত ২৩/০৯/২০১৯ তারিখ আসামী সালমা বেগম বাদী হয়ে উছমান গনি পাঠানসহ ৫জন পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে অত্র মামলা দায়ের করলে খুলনা রেলওয়ে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু পূর্বক পিবিআই খুলনাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ আবু বকর মামলাটি তদন্তকালে ১নং আসামী রেলওয়ে থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গনি পাঠানসহ ৫জন পুলিশ কর্তৃক মামলার বাদী সালমা বেগমকে ধর্ষন ও যৌন পীড়নের অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় রেলওয়ে থানার চুড়ান্ত রিপোর্ট মিথ্যা নং-০১, তাং-০২/০২/২০২০, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩)/১০/৩০ বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। তবে সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গনি পাঠান কর্তৃক বাদীকে মারপিট করার সত্যতা পাওয়া যায়।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৭:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
৩১৮ Time View

খুলনা জিআরপি থানায় মাদক মামলার আসামীকে ধর্ষণের সতত্যা মেলেনি

আপডেট সময় : ০৭:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০

খুলনাঃ

খুলনা জিআরপি থানায় মাদক মামলার আসামীকে মারপিট করার অভিযোগের সতত্যা মিললেও তাকে ধর্ষনের কোন সতত্যা পাওয়া যায়নি।

আজ সোমবার সকালে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর প্রেসব্রিফিংএ একথা জানানো হয়েছে। তবে ভিকটিম সালমা বেগমের কোথায় আছেন তা বলছে না তার পরিবারের সদস্যরা।

প্রেসব্রিফিংএ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, গত ২/৮/২০১৯ তারিখ বেনাপোল-খুলনাগামী ট্রেনের মধ্য হতে আসামী সালমা বেগমকে ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার করে খুলনা রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর তাকে রাতে থানা হাজতে রাখা হয়।

ঐ দিন রাতে খুলনা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ উছমান গনি পাঠানসহ ৫জন পুলিশ গ্রেফতারকৃত আসামী সালমা বেগমকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে মর্মে আসামী নিজে বাদী হয়ে সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান পাঠানসহ ৫জন পুলিশের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইনের ১৫(১) ধারায় মামলা দায়ের করে।

বিজ্ঞ আদালতের আদেশে সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান পাঠানসহ ৫জন পুলিশের বিরুদ্ধে খুলনা রেলওয়ে থানার মামলা নং-০৩, তাং- ৯/৮/২০১৯ ধারা-২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইনের ১৫(১) রুজু হয় এবং ৩ সদস্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষার নির্দেশ প্রদান করেন।

উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেল) ফিরোজ আহমেদ তদন্তকালে গত ২৩/০৯/২০১৯ তারিখ আসামী সালমা বেগম বাদী হয়ে উছমান গনি পাঠানসহ ৫জন পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে অত্র মামলা দায়ের করলে খুলনা রেলওয়ে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু পূর্বক পিবিআই খুলনাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ আবু বকর মামলাটি তদন্তকালে ১নং আসামী রেলওয়ে থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গনি পাঠানসহ ৫জন পুলিশ কর্তৃক মামলার বাদী সালমা বেগমকে ধর্ষন ও যৌন পীড়নের অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় রেলওয়ে থানার চুড়ান্ত রিপোর্ট মিথ্যা নং-০১, তাং-০২/০২/২০২০, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩)/১০/৩০ বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন। তবে সাবেক অফিসার ইনচার্জ উছমান গনি পাঠান কর্তৃক বাদীকে মারপিট করার সত্যতা পাওয়া যায়।