খুলনা:
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ১০ জেলায় আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ৭২৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয়েছে ৭৩০টি এবং জিন এক্সপার্ট পদ্ধতিতে ৭১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই ৩ পদ্ধতিতে মোট ২ হাজার ৫২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৩৩ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৯১ শতাংশ। আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৭টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ৩৬ দশমিক ৮১ শতাংশ। এর আগে গত বুধবার এক দিনে সর্বোচ্চ ৮১৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।
বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বাগেরহাটে ৮৯, চুয়াডাঙ্গায় ৪৩, যশোরে ২৯১, ঝিনাইদহে ৫৪, খুলনায় ২২৬ (নগরে ১৫৫), কুষ্টিয়ায় ১৫৬, মাগুরায় ১০, মেহেরপুরে ৩৩, নড়াইলে ৪৬ ও সাতক্ষীরায় ৮৫ জন আছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে যশোর, খুলনা ও নড়াইলে দুজন করে এবং মেহেরপুর ও সাতক্ষীরায় একজন করে রয়েছেন। বিভাগে করোনায় মোট মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনা জেলায় ২০৩, কুষ্টিয়ায় ১৪০, যশোরে ১০১, চুয়াডাঙ্গায় ৬৬, বাগেরহাটে ৬৩, ঝিনাইদহে ৬১, সাতক্ষীরায় ৫৬, নড়াইলে ৩০, মেহেরপুরে ৩১ ও মাগুরায় ২৪ জন রয়েছেন। বিভাগে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) ফেরদৌসী আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষা বেশ বাড়ছে। শনাক্তের সংখ্যাও বাড়ছে। সপ্তাহখানেক ধরে শনাক্তের হার ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করছে। কোনো দিন শনাক্তের রেকর্ড হচ্ছে, কোনো দিন মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। আর এই প্রথমবারের মতো এক দিনে শনাক্ত হাজার ছাড়াল।
এদিকে খুলনার ১৩০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ১৬৮ জন। এর মধ্যে ১৪৩ জন করোনা নিয়ে ও বাকি ২৫ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১৭ জন এবং হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ২০ রোগী চিকিৎসাধীন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪৫ জন। একই সময়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৬ জন।