গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে সহনশীল হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
সবুজদেশ ডেস্কঃ
গণতন্ত্র ও বহু দলে বিশ্বাস করলে সবাইকে সহনশীল হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এর মাধ্যমে পারস্পরিক দূরত্ব কমবে বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, বহু দলে বিশ্বাস করি, তাহলে সহনশীল হতেই হবে। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করব আর সহনশীল হব না, এটা গণতন্ত্রের চর্চা বলা যাবে না। গণতন্ত্রকে যদি আমরা ধারণ করি, তাহলে আমাদের ভেতর যে দূরত্ব আছে সেটা কমে আসবে।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে অন্যতম ছিল সততা- এমনটা জানিয়ে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার বাড়ি তল্লাশি করে মাত্র ২৫ হাজার টাকা পেয়েছে। কত সাধারণ জীবনযাপন করতেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মেনে, স্বাধীনতা যুদ্ধে তার নেতৃত্বকে মেনে সবাই রাজনীতি করুন।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, তাদের বলতে চাই- তার নেতৃত্বের গুণাবলির মধ্যে ঘাটতি কতটা ছিল। যদি ঘাটতি না থেকে থাকে তাহলে একাত্তরকে স্বীকার করে নিয়ে তারপর বাংলাদেশে রাজনীতি করি, দেশের সংবিধান মেনে চলি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছিলেন, যে কারণে বঙ্গবন্ধু শহীদ হয়েছেন, আমার মনে হয় সেই লক্ষ্যটা পূরণ করতে পারব। আমার মতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে এই জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য। ঠিক সেই হিসাব-নিকাশ করেই ৩ নভেম্বর যে হত্যাকাণ্ড করা হয়, যাতে জাতি দিন দিন ধ্বংসের দিকে যায়। সেই ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তারপর আমাদের এগোতে হবে। অন্যথায় বারবার আমাদের এই বিপদের সম্মুখীন হতেই থাকব।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর স্মারক সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন হওয়া উচিত।