রোববার গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগসূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।খবর আলজাজিরার।
গাজায় বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তুপ থেকে কয়েক ডজন দেহ বের করে এনেছেন হাসপাতাল কর্মীরা। এটিকে গণহত্যা বলছেন অনেকেই।
নিহতদের মধ্যে ১৬ জন একই পরিবারের সদস্য এবং এই ১৬ জনের মধ্যে ৬ শিশুও রয়েছে। এই পরিবারটি বসবাস করত গাজার প্রধান ও মধ্যাঞ্চলীয় শহর গাজা সিটির সাবরা এলাকায়।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল আলজাজিরাকে বলেন, বিমান অভিযানের আগে কোনো সতর্ক সংকেত বা সাইরেন দেয়নি ইসরাইলি বিমান বাহিনী। তিনি আরও জানান, শনিবারের হামলায় অন্তত ৮৫ জন ধ্বংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা এখনও সম্ভব হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো ত্রাণ নিতে আসার পর ফিলিস্তিনিদের ওপর সবশেষ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৮ ফিলিস্তিনি নিহত হন।
মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল বলেন, এটা ছিল পুরোপুরি ঠান্ডা মাথায় গণহত্যা। শনিবার যারা নিহত হয়েছেন, তাদের সবাই বেসামরিক এবং তাদের মধ্যে বেশ কয়েক জন নারী ও শিশু আছেন।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা মুজাহেদিন ব্রিগেডের নেতা আসাদ আবু শারিয়াকে হত্যা করেছে। যিনি ২০২৩ সালে হামাস নেতৃত্বাধীন হামলায় অংশ নিয়েছিলেন বলে টাইমস অব ইসরাইলের খবরে বলা হয়েছে।
হামাসও টেলিগ্রাম বার্তায় আসাদ শহীদ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঈদের দিন, অর্থাৎ ৬ জুনও দিনভর গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী এবং তাতে নিহত হয়েছিলেন অন্তত ৪২ জন।
সবুজদেশ/এসইউ