ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ২০ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৫৯ বার পড়া হয়েছে।

ফাইল ছবি-

সবুজদেশ ডেস্কঃ

গাজা উপত্যকায় ২০ লাখ মানুষ পানির অভাবে এখন ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’। বর্তমান গাজা পরিস্থিতি নিয়ে এমন মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। 

জাতিসংঘ সতর্কতা করে বলেছে, সেখানে কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষের জন্য পান করার পানি বিপজ্জনকভাবে কমে গেছে। এ ছাড়া সেখানে পানিবাহিত রোগের বিস্তার ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। খবর সিএনএন। 

ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্টবিষয়ক কমিশনার জেনারেল ফিলিপ্পে লাজ্জারিনি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, বিষয়টি এখন জীবন মৃত্যুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব মানুষের জন্য পানি সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য গাজায় এখন অত্যাবশ্যকভাবে জ্বালানি সরবরাহ প্রয়োজন। 

গাজার চারদিকে ইসরাইলের ভয়াবহ অবরোধের বিপর্যয়ের কথা জোর দিয়ে তুলে ধরেন তিনি। বলেন, পানি শোধনাগার এবং সরকারি পানিবিষয়ক নেটওয়ার্ক কাজ করতে পারছে না জ্বালানি সংকটে। ফলে গাজা উপত্যকায় পরিষ্কার পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে জনগণ কূপ থেকে নোংরা পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে।

এতে পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ১১ অক্টোবর থেকে গাজা বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। এতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ক্ষতি হয়েছে। 

এরই মধ্যে ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট-এর গাজা সিটির অফিসের কেন্দ্রীয় অপারেশন সরিয়ে দক্ষিণ গাজায় নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। 

বিবৃতিতে তারা বলেছে, মাত্র ১২ ঘণ্টায় গাজা থেকে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। 

এক সপ্তাহে এই সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। লাজ্জারিনি বলেন, ঠিক এ মুহূর্তে গাজায় জ্বালানি প্রয়োজন। জ্বালানি হলে জনগণের জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা যাবে। 

যদি তা না হয়, তা হলে পানিশূন্যতায় মানুষ মারা যাবে। এর মধ্যে আছে ছোট ছোট বাচ্চা, প্রবীণরা ও নারীরা। 

Tag :

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিহত

গাজায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ২০ লাখ মানুষ: জাতিসংঘ

Update Time : ১১:০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩

সবুজদেশ ডেস্কঃ

গাজা উপত্যকায় ২০ লাখ মানুষ পানির অভাবে এখন ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’। বর্তমান গাজা পরিস্থিতি নিয়ে এমন মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। 

জাতিসংঘ সতর্কতা করে বলেছে, সেখানে কমপক্ষে ২০ লাখ মানুষের জন্য পান করার পানি বিপজ্জনকভাবে কমে গেছে। এ ছাড়া সেখানে পানিবাহিত রোগের বিস্তার ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। খবর সিএনএন। 

ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্টবিষয়ক কমিশনার জেনারেল ফিলিপ্পে লাজ্জারিনি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, বিষয়টি এখন জীবন মৃত্যুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব মানুষের জন্য পানি সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য গাজায় এখন অত্যাবশ্যকভাবে জ্বালানি সরবরাহ প্রয়োজন। 

গাজার চারদিকে ইসরাইলের ভয়াবহ অবরোধের বিপর্যয়ের কথা জোর দিয়ে তুলে ধরেন তিনি। বলেন, পানি শোধনাগার এবং সরকারি পানিবিষয়ক নেটওয়ার্ক কাজ করতে পারছে না জ্বালানি সংকটে। ফলে গাজা উপত্যকায় পরিষ্কার পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে জনগণ কূপ থেকে নোংরা পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে।

এতে পানিবাহিত রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ১১ অক্টোবর থেকে গাজা বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। এতে পানি সরবরাহ ব্যবস্থার ক্ষতি হয়েছে। 

এরই মধ্যে ইউএন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট-এর গাজা সিটির অফিসের কেন্দ্রীয় অপারেশন সরিয়ে দক্ষিণ গাজায় নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। 

বিবৃতিতে তারা বলেছে, মাত্র ১২ ঘণ্টায় গাজা থেকে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। 

এক সপ্তাহে এই সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। লাজ্জারিনি বলেন, ঠিক এ মুহূর্তে গাজায় জ্বালানি প্রয়োজন। জ্বালানি হলে জনগণের জন্য নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা যাবে। 

যদি তা না হয়, তা হলে পানিশূন্যতায় মানুষ মারা যাবে। এর মধ্যে আছে ছোট ছোট বাচ্চা, প্রবীণরা ও নারীরা।