গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়াল
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা থামছেই না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা ও ক্ষোভ সত্ত্বেও বেসামরিক স্থাপনায় দিনরাত বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৬ দিনের হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ হাজার।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে আরও একটি রক্তক্ষয়ী দিন দেখল, গাজা উপত্যকা। গেল ২৪ ঘণ্টায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১’শর কাছাকাছি। আহত ১৫ হাজার ২৭৩ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ২ হাজার ৫৫ শিশু, ১ হাজার ১’শ নারী এবং ২১৭ জন প্রবীণ রয়েছেন। গাজা প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস ছিল হামলার মূল টার্গেট। সেখানকার বেসামরিক ঘরবাড়ি ও স্থাপনা লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় মিসাইল ও রকেট। তবে হাসপাতালগুলোতে নেই তিল ধারণের ঠাঁই। ফুরিয়ে আসছে চিকিৎসা সরঞ্জামও।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ১৫০০ ফিলিস্তিনি এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে, যার মধ্যে ৮৩০ জন শিশু রয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তরাঞ্চলীয় আল-শাতি শরণার্থী শিবিরেও ব্যাপক আগ্রাসন চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে প্রায় এক লাখ মানুষের বসবাস। ধ্বংস হয়েছে ধর্মীয় স্থাপনা ও চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১৪ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।
এদিকে এই বর্বরতার বিরুদ্ধে আরব বিশ্বে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হলেও তাতে কান দিচ্ছে না ইসরায়েলি প্রশাসন। বরং ঘোষণা দিয়ে গাজা ভূখণ্ডে হামলার মাত্রা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস ও ইসলামিক জিহাদ নিশ্চিহ্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের অভিযান চলছে।
কিন্তু তাদের দাবির সঙ্গে গাজার বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন। হামাস যোদ্ধারা হতাহত হচ্ছে কিনা সেটা জানা না গেলেও বেসামরিক নারী-পুরুষ-শিশু মারা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। গাজার চারদিকে কেবল ধ্বংসযজ্ঞ আর লাশের গন্ধ। জাতিসংঘ বলেছে, বেসামরিকদের খাবার, পানি ও বিমান হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো নিরাপদ স্থানের অভাব রয়েছে। মিসর থেকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে কিছু ত্রাণ প্রবেশ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম।
সবুজদেশ /এসইউ