ঢাকা ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ বিমান হামলা

সবুজদেশ ডেস্ক:

ছবি সংগৃহীত-

 

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ বিমান হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাজুড়ে নিরস্ত্র বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। এতে ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

গাজা মিডিয়া অফিস বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।

এক বিবৃতিতে মিডিয়া অফিস বলেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলা বেসামরিক নাগরিকদের এবং অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে হয়েছে। এ কাজ ভয়ংকর অপরাধ। দখলদারদের অন্ধকার রেকর্ডে নতুন ঘৃণা যোগ হলো।

আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। মৃতদেহ সরিয়ে নিতেও দিচ্ছে না। ফলে ছিন্নভিন্ন লাশ রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে গাজা এবং উত্তর গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ।

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৫ হাজার ৬০০। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। যদিও ইসরায়েল দাবি করে আসছে, হামাসের সন্ত্রসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান চলছে। এতে হামাস যোদ্ধারা নিহত হচ্ছেন। যোদ্ধারা বেসামরিক লোকদের মধ্যে অবস্থান করায় বা তাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।

কিন্তু আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বহু প্রমাণ উপস্থাপন করেছে। যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলা চালায়।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এতে এ উপত্যকার প্রায় শতভাগ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয়দের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। অধিকাংশ ফিলিস্তিনি খোলা আকাশের নিচে ধ্বংসস্তূপের ওপর তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করছে। এর মধ্যে ডিসেম্বরের শেষ থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে তীব্র শীত ও তুষারপাতে ঠান্ডায় জমে গিয়ে সেখানে এক সপ্তাহে অন্তত সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:২১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
১০ Time View

গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ বিমান হামলা

আপডেট সময় : ১১:২১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

 

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ বিমান হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাজুড়ে নিরস্ত্র বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। এতে ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।

গাজা মিডিয়া অফিস বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।

এক বিবৃতিতে মিডিয়া অফিস বলেছে, ইসরায়েলি বিমান হামলা বেসামরিক নাগরিকদের এবং অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে হয়েছে। এ কাজ ভয়ংকর অপরাধ। দখলদারদের অন্ধকার রেকর্ডে নতুন ঘৃণা যোগ হলো।

আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চিকিৎসা ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। মৃতদেহ সরিয়ে নিতেও দিচ্ছে না। ফলে ছিন্নভিন্ন লাশ রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিশেষ করে গাজা এবং উত্তর গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ।

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৫ হাজার ৬০০। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। যদিও ইসরায়েল দাবি করে আসছে, হামাসের সন্ত্রসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান চলছে। এতে হামাস যোদ্ধারা নিহত হচ্ছেন। যোদ্ধারা বেসামরিক লোকদের মধ্যে অবস্থান করায় বা তাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে।

কিন্তু আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বহু প্রমাণ উপস্থাপন করেছে। যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলা চালায়।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। এতে এ উপত্যকার প্রায় শতভাগ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয়দের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। অধিকাংশ ফিলিস্তিনি খোলা আকাশের নিচে ধ্বংসস্তূপের ওপর তাঁবু খাটিয়ে বসবাস করছে। এর মধ্যে ডিসেম্বরের শেষ থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে তীব্র শীত ও তুষারপাতে ঠান্ডায় জমে গিয়ে সেখানে এক সপ্তাহে অন্তত সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ