গার্লফ্রেন্ডের দিকে তাকানো নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগে তুলকালাম!
সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
ব্যক্তিগত অক্রোসে সাতক্ষীরায় কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। আহতরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শনিবার বেলা দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন, শহরের পুরাতন সাতক্ষীরার আবু মুসার ছেলে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল হোসেন (২২)। উজ্জল হোসেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্সের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আহত অপর ছাত্রলীগ নেতা মির্জা ইব্রাহিম উত্তর কাটিয়া এলাকার মির্জা কামরুজ্জামানের ছেলে। ইব্রাহিম সরকারি কলেজের অনার্সের জিয়োলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। আহত আরিয়ান আলিফ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
আটক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হল, নাহিদ হাসান (২৫), আদনান রাহিত (১৯), আশরাফুল (১৯), হাসান (২২), ইমরান হোসেন (২০), রায়হার (২০), ফয়সাল (১৯), হারুন (২০), ফারদিন খান (২৩), মুক্তাছির (২২), শারুফ (২০), আরিয়ান (২০) ও রোকসানা পারভীন (২২)।
থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক কলেজের অনার্সের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতয়ি বর্ষের ছাত্রী রোকসানা পারভীন জানান, সকাল ১০টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে আমার সঙ্গে মির্জা ইব্রাহিমের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। বেলা একটার দিকে ইব্রাহিম, আরিফ, আকিব, নোমান, আলামিন, আশাসহ ১০-১২ জন দাঁড়িয়ে ছিল। তখন আমিও সেখানে ছিলাম। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ছাত্রলীগ নেতা উজ্জল হোসেনের গ্রুপের দুইজনকে মারপিট করার কারণে উজ্জল এসে ইব্রাহিমের পেটে ছুরি ডুকিয়ে দেয়।
এদিকে, মির্জা ইব্রাহিম গ্রুপের নেতাকর্মীরা উজ্জল হোসেনকে হাতে, পায়ে ও মাথায় ছুরিকাঘাত করে। ইব্রাহিম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আশিকুর রহমানের অনুসারী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মির্জা ইব্রাহিম জানান, ছাত্রলীগ নেতা উজ্জলের সহযোগীদের কলেজ ক্যাম্পাসে গাজা খেতে নিষেধ করে দুইজনকে আমি কলেজ থেকে বের করে দেই। পরবর্তীতে উজ্জল এসে আমাকে ছুরি মারে। উজ্জল হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহম্মেদের অনুসারী।
অপরদিকে, ছাত্রলীগ উজ্জল হোসেন জানান, ইব্রাহিম তার গার্লফ্রেন্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় ছাত্রলীগকর্মী সজীব তাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন ইব্রাহিম এদিকে ওভাবে তাকালি কেন বলে সজীবকে মারপিট করে। পরবর্তীতে সজীব আমার মোবাইল ফোনে কল দিলে আমি ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে তাদের থামানোর চেষ্টা করি। এ সময় তারা আমার উপরেও হামলা করে।
ঘটনার বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ব্যক্তিগত আক্রোসের কারণে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।